বীরভূমে উদ্ধার বিষধর শাঁখামুটি সাপ

জেলায় যে সকল বিষধর সাপ দেখা যায় তার মধ্যে একটি হলো শাঁখামুটি বা রাজসাপ। খুব অল্প সংখ্যক দেখা গেলেও এই সাপ নদীর তীরবর্তী এবং জলা জায়গায় দেখা যায়। শুক্রবার বীরভূমের সাঁইথিয়ার মহিষাডহরী গ্রামে একটি শাঁখামুটি সাপঢুকে পড়ে। এলাকায় ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুব আতঙ্ক ছড়ায়। তবে মানুষের সচেতনতায় সাপটিকে কেউ আক্রমণ করেনি।
শাঁখামুটি সাপটি আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় ফুট লম্বা। মারাত্মক বিষধর সাপ ঢুকে যাওয়ার পর স্থানীয় এক মহিলা বন্যপ্রাণ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাসকে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এলাকায় পৌঁছান দীনবন্ধু বিশ্বাস। তারপর তিনি ওই সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন সিউড়ির বন দফতর অফিসে।
সেখান থেকেই অনুকূল পরিবেশে সাপটির পুনর্বাসন দেওয়া হয়।উদ্ধার হওয়া শাঁখামুটি সাপের বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। যেমন সাপটি মারাত্মক বিষধর হলেও সহজে কামড়ায় না। কারণ এই সাপ খুব শান্ত। পাশাপাশি এই সাপ সমাজের খুব উপকার করে থাকে। এর প্রধান খাদ্যই হলো বিষধর সাপ। এরা কালাচের মতবিষধর প্রজাতির সাপ খেয়ে পরিবেশে কালাচের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে।
অভিযোগ, শাঁখামুটি সাপ আগে খুব পাচার হতো। এদের চামড়া খুব মূল্যবান। তবে পাচার রুখতে সক্ষম হয়েছে বন দফতর।এমনটাই দাবি দীনবন্ধু বিশ্বাসের। তিনি আরও জানান, মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে এই ধরনের সাপ বাঁচিয়ে রাখার জন্য। যে কোনও সাপ এলাকায় দেখতে পাওয়া গেলে তার ওপর যেন আক্রমণ না করা হয়, বন দফতরকে ফোন করে বিষয়টি জানাতে হবে।