বিরোধীদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি করবে অধ্যাপক সৌগত

বিরোধীদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি করবে অধ্যাপক সৌগত

অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাদের ‘বেলাগাম’ হতে শোনা গিয়েছে। বিরোধীদের লক্ষ্য করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রামপুরহাটের তৃণমূল নেতা ত্রিদিব ভট্টাচার্য, ইলামবাজারের দুলাল রায়, দুবরাজপুরের পীযূষ পাণ্ডে, পূর্ব বর্ধমানের অরূপ মিদ্যারা। মদন মিত্র কিংবা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দলের প্রথম সারির নেতারাও পিছিয়ে নেই।

সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে কলকাতার আশুতোষ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের নামও। এক অনুষ্ঠানে সৌগত রায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, “যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, এরপর আমি বলব তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। 

তবে ওই মন্তব্যরের জন্য ক্ষমা চাইতে নারাজ কলকাতার আশুতোষ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। গতকাল কামারহাটিতে দলের এক সভায় সৌগত রায় বলেন, যারা তৃণমূল কংগ্রেসের এত সমালোচনা করছেন সেইসব বিরোধীদের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো তৈরি করা হবে।  কেন এমন মন্তব্য?

এনিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সৌগত রায় বলেন, ওরা যে ভাষা ব্যবহার করছে তার সঙ্গে আমি একমত নই। একটা কথা আমি কালও বলেছিলাম, যে ভাবে সিপিএম ও বিজেপি প্ররোচনা দিচ্ছে এটা সাধারণ তৃণমূল কর্মীদের পক্ষে সহ্য করা মুসকিল। দুজন তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হয়েছে তা নিয়ে ওরা নেচে নেচে গুড় বাতাসা বিলি করবে আর বলবে তৃণমূলের সবাই চোর! এটা তৃণমূলের লোকেরা সহ্য করবে কেন?

সৌগতর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মদন মিত্র এসব বলে, লোকে মেনেও নেয়। কিন্তু অধ্যাপক সৌগত রায় যখন বলছেন তখন বুঝতে হবে কিছু একটা গোলমাল আছে। লোকে ঘাবড়ে গেলে এরকম কথা বলে।” অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, “এসব চাপে পড়ে বলছেন।

সৌগত রায় এরকম কথা বলার লোক না। হয়ত তৃণমূল নেতারা চাপ দিচ্ছেন এরকম গালাগালি দিতে হবে, তাই এসব বলছেন।” যদিও নিজের বক্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে সৌগত রায়কেই বলতে শোনা যায়, “এ বক্তব্যের কোনও ব্যাখ্যা নেই।

নকশালদের এটা স্লোগান ছিল, বড়লোকের চামড়া দিয়ে গরীবের পায়ের জুতো তৈরি হবে। এটা রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃণমূলকে যারা চোর বলছে, আমিও তাদের উদ্দেশে রূপকার্থে এটা ব্যবহার করেছিলাম। তবে না করলেই হয়ত ভাল হত। সেইটুকু ভুল হয়েছে। তবে এটা এমন কিছু খারাপ স্লোগান নয়। আমি এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে পারি। ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”