শান্তিপুরের গ্রামের পুজো ক্রমশ জৌলুস হারাচ্ছে অর্থ এবং লোকাভাবে

শান্তিপুর সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে অথবা অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া গ্রামে গাঙ্গুলী বাড়ির দুর্গাপুজো প্রথম প্রচলন হয়। সে সময় ওই অঞ্চলের জমিদার ছিলেন তারা। ওই অঞ্চলের গরিব প্রজাদের নতুন বস্ত্র, পুজোর ক'দিন জমিদার বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন থাকতো। আশেপাশের গয়েশপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সমস্ত গ্রামের মধ্যে এই একটাই পুজো ছিলো।
বেশ কিছু বছর বাদে পাশাপাশি একটি পুজো দীর্ঘদিন চলার পরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর রামকৃষ্ণ মিশন তা পুনরায় চালু করে। তবুও গাঙ্গুলী বাড়ির পুজো এখনো সকলের পরিচিত। অষ্টম পুরুষ পর বর্তমান নবম প্রজন্ম 76 বছর বয়সী লাল জীবন গাঙ্গুলী বলেন, সাবেকি পরিবারের সকলেই কর্মসূত্রে কেউ রাজ্যের কেউবা ভারতের বাইরে থাকেন।
তবে স্থানীয় এক ভাইয়ের পরিবার এবং অপর এক ভাইয়ের স্ত্রী পরিবার এখনো পুজোর খরচ বাবদ সহযোগিতা করে এবং পুজোর ক'দিন এসে পৌঁছায় গ্রামে। তবে আগামী প্রজন্ম বলতে ভাতুষ্পুত্র। তবে দুই ভাইয়ের দুই মেয়ে ও খুব আগ্রহী পূজার ব্যাপারে, তারা যাতে আগামী দিনগুলিতে সাবেকি রীতিনীতি এবং পুজোর ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে যাওয়ার ইচ্ছা।
পারিবারিক পুজো হিসেবেই হয়তো সরকার কোন ভাবে সহযোগিতা করে না, কিন্তু সে জমিদারি শেষ হয়েছে কয়েক পুরুষ আগে। তারপর থেকে কোন রকমে নিজেদের পরিবারের সংসার খরচ জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়। তার ওপর দূর্গাপূজার মতন একটি ব্যয়বহুল পূজা বাপ ঠাকুরদাদার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কোন উপায় দেখছি না।