রাজ্যের দুই বঙ্গেই ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি, জেনে নিন ভিজবে কোন কোন জেলা?

কিছুক্ষণের মধ্যেই একাধিক জেলায় নামবে বৃষ্টিপাত। উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গেই প্রবেশ করেছে বর্ষা। মৌসুমীবায়ু প্রবেশের ফলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ সকালের দিকেই একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই জেলাগুলিতে নামবে বৃষ্টিপাত। বাজ পড়ে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে সেজন্য সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় থাকার কথা বলা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। বৃহস্পতিবার শহরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম এবং এদিন সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৯ শতাংশ। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দার্জিলিং কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই বছর মৌসুমী বায়ু অপেক্ষাকৃত বিলম্বে প্রবেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। প্রাথমিকভাবে তা দুর্বল থাকলেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে, জানাচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। এদিন পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার নাগাদ বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে অপেক্ষাকৃত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এই বিষয়ে কিছুটা আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদরা । এই প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদরা বলেন, "এই মুহূর্তে ওডিশা, বিহার এবং ছত্তিশগড়ের উপর একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে।
সেই নিম্নচাপের আকর্ষণেই উত্তর পূর্ব ভারত থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু দ্রুত প্রবেশ করছে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গেও বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই অবস্থা আপাতত জারি থাকবে।" তাঁর কথায়, "বাংলার পাশাপাশি বিহার, ওডিশা এবং ছত্তিশগড়েও প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। এ বছর স্বাভাবিকের তুলনায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ আমরা এ বছর ১৪০-১৪৫ শতাংশ বৃষ্টিপাত পাব।"