বৃষ্টিস্নাত দিনে বানিয়ে ফেলুন গরম গরম নারকেল খিচুড়ি

বৃষ্টিস্নাত দিনে বানিয়ে ফেলুন গরম গরম নারকেল খিচুড়ি

আজ বাংলা: কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর শুরু হয়েছে জমিয়ে বৃষ্টি। বাইরে এখন  বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। আর এই বৃষ্টিস্নাত দিনে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি না খেলে যেন দিনটা জমবে না।


এই বৃষ্টিতে জমিয়ে খিচুড়ি তো খেতেই হবে। তাহলে আসুন আজ শিখে নিন নারকেলের খিচুড়ির সহজ রেসিপি। 

কী কী লাগবে: 

১ কাপ গোবিন্দভোগ চাল

১ কাপ মুগ ডাল

১টা মাঝারি সাইজের টোম্যাটো কুচি

 আধ ইঞ্চি আদা বাটা

২টো মাঝারি সাইজের আলু (খোসা ছাড়িয়ে অর্ধেক করে কাটা)

 ১ কাপ ফুলকপি

আধ কাপ কড়াইশুঁটি

আধ কাপ বিনস

৩-৪টে কাঁচালঙ্কা

 ১ মুঠো ধনেপাতা কুচি

আধ কাপ কুচনো গাজর

১ চা চামচ গুঁড়ো হলুদ

 ১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো

আধ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো

  হিং

 ১টা মাঝারি দারচিনি 

 ৩-৪টে ছোট এলাচ

 ৩টে লবঙ্গ

২টো মাঝারি তেজপাতা

 ১ চা চামচ গোটা জিরে

ছোট নারকেলের অর্ধেকটা কোরানো

 আধ কাপ নারকেলের দুধ

২ টেবল চামচ ঘি

 নুন পরিমাণ মতো।

কীভাবে বানাবেন: প্রথমে চাল ও ডাল আলাদা আলাদা করে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। প্রেশার কুকারে ঘি গরম করে হিং, গোটা জিরে, দারচিনি, ছোট এলাচ, লবঙ্গ ও তেজপাতা ফোড়ন দিন।


আধ মিনিট নেড়ে নিয়ে গন্ধ বেরোলে টোম্যাটো কুচি ও আদা বাটা দিন। নুন দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না টোম্যাটো গলে গিয়ে তেল ছাড়তে থাকছে। এরপর প্রেশার কুকারে কড়াইশুঁটি, বিনস, ফুলকপি, আলু দিয়ে গুঁড়ো হলুদ, নুন ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে থাকুন ৩-৪ মিনিট। যতক্ষণ না আলু ও ফুলকপি সোনালি হয়ে আসছে। এ বার চাল ও ডাল ঢেলে দিন।

২ মিনিট না়ড়তে থাকুন যাতে চাল ও ডাল ভাজা হয়ে সুন্দর গন্ধ বেরোয়া। তারপর নারকেল কোরা ও দুধ দিয়ে দিন। ফুটতে শুরু করলে সাড়ে ৩ কাপ জল ও নুন দিন। বেশি নুন দেবেন না, কারণ সিদ্ধ সব্জিতে নুন দেওয়া রয়েছে।

প্রেশার বেরিয়ে গেলে ঢাকনা খুলুন। উপরে বাকি ঘি, গরম মশলা গুঁড়ো, নারকেল কোরা ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে ভাল করে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।