দেখে নিন স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বেকিং সোডার ভূমিকা

আজবাংলা বেকিং সোডার এই ছোট খাটো ব্যবহার ছাড়াও এটি ভীষণভাবে প্রাকৃতিক দুর্গন্ধনাশক পদার্থ, হাত ও দাঁত পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া নিত্যদিন যদি একটু করে বেকিং সোডা ব্যবহার করা হয় তবে তা শরীরে রক্তের পরিমান ঠিক রাখতে, অ্যাসিড এর পরিমান হ্রাস করতে ভীষণভাবে উপকার করে থাকে।
আমাদের শরীরের সামগ্রিক কার্যকলাপে এটি ভীষণ ভাবে উপকার করে। জলে মিশ্রিত বেকিং সোডা এর উপকার সারা পৃথিবীতে প্রাচীন কাল থেকে স্বীকৃত। এবারে দেখে নেওয়া যাক সৌন্দর্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেকিং সোডা কিভাবে সাহায্য করে থাকে।
১) দাঁতের সাদা ভাব ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে বেকিং সোডার মতো দাঁত পরিষ্কার অন্য কিছুতেই হয় না। দাঁতের ওপর থেকে দাগ ওঠানোর জন্য বেকিং সোডা এর ভূমিকা অসাধারণ।
২) ঠোঁট এর কালোভাব কমাতে সাহায্য করে মধু এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে প্রতিদিন 3 মিনিট করে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখলে ঠোঁট এর কালোভাব দূর হয়। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত।
৩) ব্রণ প্রতিরোধক হিসাবে ব্রণ এবং মুখে হওয়া ফুসকুড়ি কমাতে অসাধারণ উপকার করে বেকিং সোডা।
৪) চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে কোনো বিজ্ঞানসম্মত মতামত না থাকলেও চুলকে নরম করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে বেকিং পাউডার।
৫) ত্বকের উন্নতিতে সহায়তা করে মৃত কোষ অপসারিত করে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে বেকিং সোডা। এর ফল স্বরূপ ত্বকের পুরানো দ্যুতি ফিরে আসে। এর জন্য কেবল প্রয়োজন জলের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে মুখে বৃত্তাকারের ঘষে লাগানোর। তবে এটি সপ্তাহে 2 দিনের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।
স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বেকিং সোডার ভুমিকা
১) অতিরিক্ত ব্যায়াম এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা এর প্রতিষেধক নামেও পরিচিত অতিরিক্ত ব্যায়াম এর ফলে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমতে পারে, শরীরে পেশীগত কাঠিন্নতা দেখা দিলে এই সমস্যার প্রতিষেধক হিসাবে বেকিং সোডা ভয়ানক উপকারী। জল এর সাথে মিশ্রিত বেকিং সোডা এক্ষেত্রে অসাধারন উপকার করে।
২) মূত্রনালির সংক্রমণ এর উপশম করতে সহায়তা করে মূত্রনালির সংক্রমণ এর উপশম করার অন্যতম একটি ঘরোয়া পদ্ধতি হলো বেকিং সোডা ও জল এর মিশ্রণ।
৩) কিডনি এর কার্যকলাপে সাহায্য করে ক্ষারীয় পদার্থ হিসাবে বেকিং সোডা শরীরে অম্লের পরিমান কমাতে এবং পি.এইচ সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 'মার্কিন সোসাইটি অফ নেফ্রোলজি'-র মতো একটি পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে এটি শরীরে কিডনির কার্যকলাপ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ঘটায়।
৪) বেকিং সোডা হলো প্রাকৃতিক অম্লনাশক বেকিং সোডা শরীরে এক নিরপেক্ষ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে। অ্যাসিড নিঃসরণ হলো শরীরের খুব সাধারণ একটি ঘটনা যার ফলে অম্বল এর সমস্যা প্রায়শই দেখা দিয়ে থাকে। বেকিং সোডা এর মধ্যে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট থাকার জন্য অম্বলের সমস্যা এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে।
৫) প্রাকৃতিক অ্যালকালাইসিং এজেন্ট হিসাবে পরিচিত শরীর থেকে অম্ল এর পরিমান কমাতে এবং পি.এইচ এর ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে বেকিং সোডা। শরীরে অম্লের পরিমান বেশি হয়ে গেলে অস্টিওপরোসিস,আর্থারাইটিস এর মতো সমস্যা দেখা দেয়।
৬) গেঁটে বাতের সমস্যা কমাতে বিশেষ উপকারী ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান মূত্র এবং টিস্যুতে অতিরিক্ত পরিমানে বেড়ে গেলে সারা শরীরে মারাত্মক যন্ত্রনা দেখা দেয় যার ফলস্বরূপ গেঁটে বাত দেখা যায়। এটি ঠিক করতে বেকিং সোডা অসম্ভব উপকার করে।