শান্তিনিকেতন | Santiniketan

শান্তিনিকেতন  | Santiniketan

বীরভূম জেলায় অবস্থিত ছোট শহর শান্তিনিকেতন Santiniketan। তাই এই পরিচয় দিলেও শান্তিনিকেতন Santiniketan কিন্তু আসলে অন্য পরিচয় বহন করে। Santiniketan শান্তিনিকেতন জুড়ে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার অসামান্য কিছু কর্ম কান্ড। Santiniketanশান্তিনিকেতন বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের কাছে অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিভৃতে ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে বোলপুর শহরের উত্তরাংশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। উপাসনা গৃহ বা ব্রাহ্ম মন্দির। ১৮৯২ সালে এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়।

এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র দিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন থেকেই ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে প্রতি বুধবার সকালে উপাসনা হয়। মন্দির গৃহটি রঙ্গিনকাঁচ দিয়ে নান্দনিক নকশায় নির্মিত। আর তাই এস্থানিয় লোকজনের কাছে এটা কাচের মন্দির নামেও পরিচিত। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনের দ্বিতীয়ার্ধের অধিকাংশ সময় শান্তিনিকেতন আশ্রমে অতিবাহিত করেছিলেন।

তাঁর সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্মে এই আশ্রম ও আশ্রম-সংলগ্ন প্রাকৃতিক পরিবেশের উপস্থিতি সমুজ্জ্বল। শান্তিনিকেতন চত্বরে নিজের ও অন্যান্য আশ্রমিকদের বসবাসের জন্য রবীন্দ্রনাথ অনিন্দ্য স্থাপত্যসৌকর্যমণ্ডিত একাধিক ভবন নির্মাণ করিয়েছিলেন।  এই ছোট শহরটি সাহিত্য এবং সংস্কৃতির এক অসাধারণ মেলবন্ধন। প্রতি বছর দেশ এবং বিদেশ থেকে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে এখানে। জ্ঞান পিপাসু এবং ভ্রমণ পিপাসু এই দু ধরণের মানুষকেই এই শহর বরাবর আকর্ষণ করে এসেছে। বর্তমান সময়ে শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ,শিক্ষা ,সংস্কৃতি সব মিলিয়ে এই শহর ইন্টেলেক্চুয়াল এবং রোমান্টিক বাঙালীকে বার বার আকর্ষণ করে এসেছে। 

এই শহরটি শান্তিনিকেতন হয়ে ওঠার আগে কিন্তু অন্য নামে পরিচিত ছিল। কুখ্যাত ডাকাত ভুবন ডাকাতের নামে এই শহরটির নাম ছিল ভুবনডাঙ্গা। সময় টা তখন ১৮৬২ , মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের আশ্রম স্থাপন করার জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা খুঁজছেন। এমত অবস্থায়  রায়পুরে বন্ধু স্থানীয় জমিদারের  বাড়িতে থাকাকালীন একদিন ভ্রমণকালে এই স্থানটি তার উপযুক্ত বলে মনে হয়। ১৮৬৩ সালে তিনি আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং স্থানটির নাম করন করেন শান্তিনিকেতন। ঠিক ৪০ বছর পরে ১৯০১ সালে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঠভবন প্রতিষ্ঠা করেন।

এই পাঠভবন তৎকালীন শিক্ষাচর্চার ধারাকে ভেঙে দেয়। শিক্ষাকে তিনি চার দেওয়াল থেকে বের করে প্রকৃতির সন্নিবেশে নিয়ে আসেন। শুধু মাত্র পাঁচজন ছাত্র এবং পাঁচজন শিক্ষককে নিয়ে এই স্কুল শুরু হয়। ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হওয়ার পর তিনি এটিকে মহা বিদ্যালয়ে পরিণত করেন। যা এখন বিশ্বভারতী নামে সবার কাছে পরিচিত। বর্তমানে এই মহাবিদ্যালয় শিক্ষার পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, এখানে ছাত্র ছাত্রীরা প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেদের আবিষ্কর করে। পাঠ ভবনের পর মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা,সন্তোষ পাঠশালা ,শিক্ষা শাস্ত্র ,উত্তর শিক্ষা সদন এগুলিকে বিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এছাড়া দর্শন ভবন ,সঙ্গীত ভবন,চীনা ভবন,কলা ভবন শিল্প সদন ,রবীন্দ্র ভবন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে দেশ ও বিদেশের জ্ঞান পিপাসু মানুষ এখানে আসেন এবং নিজেদের জ্ঞানের ভান্ডারকে পরিপূর্ণ করেন। ইন্দিরা গান্ধী , অমর্ত্য সেন, নন্দলাল বসু সত্যজিৎ রায় এছাড়া আরো অনেক নামি মানুষ এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত। আগেও বলেছি যে পর্যটন স্থান হিসেবেও এর জনপ্রিয়তা কম নয়। খোয়াইয়ের এর ঘাট বহুকাল ধরেই রোমান্টিক বাঙালীকে   আকর্ষণ করে আসছে। এছাড়া বল্লভপুর ওয়াইল্ডলাইফ পার্ক ,ছাতিমতলা ,রবীন্দ্র মিউসিয়াম ,সোনাঝুরি, নন্দন আর্ট গ্যালারি ,আমারকুটির -এগুলি প্রত্যেকটি শান্তিনিকেতনের আকর্ষণকে বাড়িয়ে তোলে।

শান্তিনিকেতনের আকর্ষণকে আরো বাড়িয়ে তোলে পৌষ মেলা, বসন্ত উৎসব ,জয়দেব কেঁদুলির মেলা। বহু পর্যটকের সমাগম ঘটে এই উৎসবে। বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতির অভূত পূর্ব সমন্নয় ঘটে এই মেলাগুলিতে। পৌষ মেলা শীতকালে হয়। এই মেলায় বিভিন্ন প্রাদেশিক নৃত্য, লোক সঙ্গীত, কুটির শিল্প, হস্থ শিল্প ,পিঠে পায়েস সব মিলিয়ে তিনদিন সময় যেন নিমেষে ফুরিয়ে যায়। বসন্ত উৎসব হলো রঙের উৎসব। এইসময় পলাশ ফুলের মতো প্রকৃতি ও রাঙিয়ে ওঠে। জয়দেব কেঁদুলির মেলায় বরাবর সঙ্গীত পিপাসু ,মানুষকে আকর্ষণ করে আসছে।

বাউল ফকির লোকসংগীত সব মিলিয়ে আমাদের উদাস করে তোলে। প্রাথমিক পর্যায়ে বহু বিশিষ্ট ইউরোপীয় পন্ডিত বিশ্বভারতীর উন্নয়নে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সিলভা লেভি, স্টেন কনো, তুচ্চি, কলিন্স, ভোগডানভ, অাঁদ্রে কারপেলেস, স্টেল্লা ক্রামরিশ, লিওনার্ড এমহার্স্ট গ্রামীণ সমাজকল্যাণ কর্মকান্ডের উন্নয়নে সাহায্য করেছিলেন। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বিশ্বভারতীতে গ্রন্থাগারিকরূপে যোগদান করেছিলেন। ১৯৩৬ সালে গণশিক্ষার জন্য একটি বিভাগ এবং ১৯৩৮ সালে শিল্পসদন (চারুকলা ইনস্টিটিউট) সংযোজন করা হয়েছিল।

বিশ্বভারতীর বিভিন্ন অঙ্গ হচ্ছে পাঠভবন (বিদ্যালয়), শিক্ষাভবন (মহাবিদ্যালয়), বিদ্যাভবন (স্নাতকোত্তর ও গবেষণা), কলাভবন (চারুকলা), সঙ্গীতভবন (সঙ্গীত), পল্লী সংগঠন (গ্রামীণ সংগঠন), গ্রন্থন (প্রকাশনা) ইত্যাদি। ১৯৩৭ সালে অধ্যাপক তান ইয়ুন-সানের সহযোগিতায় চীনাভবন (চীন-ভারত পাঠ) সংযোজিত হয়েছিল। হিন্দিভবন ও রবীন্দ্রভবন যোগ করা হয়েছিল যথাক্রমে ১৯৩৯ এবং ১৯৪২ সালে; শেষোক্তটি হচ্ছে রবীন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র এবং এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পান্ডুলিপি, চিত্রকর্ম, চিঠিপত্র ও গ্রন্থগুলি রক্ষিত আছে। 

এমনিতে লাল মাটির দেশে দেখার মতো জায়গার অভাব নেই। কিন্তু কলকাতা থেকে মাত্র ১৬০ কিলোমিটার দূরের শান্তিনিকেতনের কোনও বিকল্প নেই। ট্রেনে হাওড়া থেকে বর্ধমান হয়ে বোলপুর-শান্তিনিকেতন ঘণ্টা তিনেকের জার্নি। সোজা রাস্তায় গেলে দূরত্ব ১৬৩ কিমি। পথ এশিয়ান হাইওয়ে ১ (দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে) বর্ধমান, তার পর গুসকরা হয়ে শান্তিনিকেতন। যদি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে বর্ধমান ছাড়িয়ে পানাগড় পৌঁছে সেখান থেকে মোরগ্রামগামী জাতীয় সড়ক ধরে ইলামবাজার, সেখান থেকে কাঁকসার জঙ্গলের মধ্য দিয়ে শান্তিনিকেতন।

এ পথে দূরত্ব পড়ে ১৯৫ কিমি। আর এই দুই পথের পরিবর্তে আমরা যদি পুরোনো জিটি রোড ধরে যাই, তা হলে পথের অনেক দ্রষ্টব্য দেখে নেওয়া যায়। এতে দূরত্ব বেশি পড়ে না, কিন্তু সময় তো কিছু বেশি লাগে। না হয়, বেশ কিছুটা সময় লাগবে শান্তিনিকেতন পৌঁছোতে। দু’টো দিন তো সেখানে থাকবেন। অসুবিধা কী? জিটি রোড ধরে দ্রষ্টব্য দেখতে দেখতে চলুন। আর সব যে দেখতে হবে তার তো কোনো কথা নেই। গুড়াপের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরুন, তার পর বর্ধমান-গুসকরা বা পানাগড়-ইলামবাজার হয়ে চলুন শান্তিনিকেতন। 

শান্তিনিকেতন ভবন

এটিই আশ্রমের সবচেয়ে পুরনো বাড়ি। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬৪ সালে এই বাড়িটি তৈরি করিয়েছিলেন। দালান বাড়িটি প্রথমে একতলা ছিল। পরে দোতলা হয়। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির আদলেই এই বাড়িটি তৈরি হয়।বাড়ির উপরিভাগে খোদাই করা ‘ সত্যাত্ম প্রাণারামং মন আনন্দং ‘ মহর্ষির প্রিয় উপনিষদের এই উক্তিটি। তিনি নিজে বাড়ির একতলায় ধ্যানে বসতেন। তার অনুগামীরাও এখানে এসে থেকেছেন। কৈশোরে বাবার সঙ্গে হিমালয়ে যাওয়ার পথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে কিছুদিন বাস করেন। ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয় স্থাপনের সময়ও রবীন্দ্রনাথ কিছুকাল সপরিবারে এই বাড়িতে বাস করেন। পরে আর কখনও তিনি এটিকে বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার করেননি। এখন বাড়িটির সামনে রামকিঙ্কর বেইজ নির্মিত একটি বিমূর্ত ভাস্কর্য রয়েছে। মূর্তিটির নাম ‘অনির্বাণ শিখা’।

 ছাতিমতলা

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন রায়পুরের জমিদার বাড়িতে নিমন্ত্রন রক্ষা করতে আসছিলেন তখন এই ছাতিমতলায় কিছুক্ষনের জন্য বিশ্রাম করেন। এখানেই তিনি পেয়েছিলেন প্রানের আরাম মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি। সেসময় তিনি জমিদারবাবুর কাছে ষোল আনা দিয়ে ২০ বিঘা জমি পাট্টা করেন। সেই ছাতিম গাছদুটি এখন আর বেঁচে নেই রয়েছে একটি বেদি ৭ই পৌষ সকালবেলা এখানে উপাসনা হয়। বর্তমানে সেখানে দুতি নতুন ছাতিম গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে স্থানটি ঘেরা আছে সেখানে সাধারনের প্রবেশ নিশেধ।

 কাচের মন্দির বা উপাসনাগৃহ

 উপাসনাগৃহ বা ব্রাহ্মমন্দির। ১৮৯২ সালে এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র দিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন থেকেই ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে প্রতি বুধবার সকালে উপাসনা হয়। যেকোনো ধর্মের মানুষই এই উপাসনাগৃহতে প্রবেশ করতে পারে। তবে তার জন্য তাকে বিশেষ সাদা পোশাক পরতে হয়। মন্দির গৃহটি রঙ্গিনকাঁচ দিয়ে নান্দনিক নকশায় নির্মিত। আর তাই স্থানিয় লোকজনের কাছে এটা কাচের মন্দির নামেও পরিচিত।

 তালধ্বজ

উপাসনাগৃহের ঠিক উত্তরপূর্ব কোনে রয়েছে “তালধ্বজ“। অনন্য সুন্দর গোলাকৃতির এই মাটির বাড়িটি শান্তিনিকেতন আশ্রমের সৌন্দর্যকে এক অন্য মাত্রা প্রদান করেছে। একটি তালগাছকে কেন্দ্র করে অপূর্ব পরিকল্পনায় এই বাড়িটি নির্মিত। তালগাছের পাতাগুলি ‘ধ্বজা’র মত করে বাড়িটির উপরে শোভিত বলেই এর নাম “তালধ্বজ”। তেজশচন্দ্র সেন নামক এক বৃক্ষপ্রেমী এটির নির্মাতা।

তিনপাহার ও আম্রকুঞ্জ

উপাসনা গৃহের ঠিক পূর্ব দিকে প্রকাণ্ড একটি বটগাছে ঘেরা জায়গাটির নাম তিনপাহার। জানা যায় পূর্বে এখানে একটি পুকুর ছিল পরবর্তীকালে পুকুরটিকে ভরাট করে বাগান তৈরি করা হয়। মহর্ষি দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর এখানেই ধ্যান করতেন। শান্তিনিকেতন বাড়ির দক্ষিণে আম গাছে ঘেরা জায়গাটির নাম আম্রকুঞ্জ। মহারাজা মহতাব চাঁদ তার মালি রামদাস কে পাঠিয়ে এই বাগানের পত্তন ঘটান। রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তাকে এখানেই সংবর্ধিত করা হয়। তার বহু জন্মোত্সবও এখানেই পালিত হয়েছে ।পাঠভবনের নিয়মিত ক্লাস হয় এখানে। বিশ্বভারতীর সমাবর্তনের অনুষ্ঠানও একসময় নিয়মিতভাবে এখানেই হয়। এক কালে বসন্ত উত্সবও এখানেই অনুষ্ঠিত হত। 

 দেহলি

আম্রকুঞ্জের ঠিক দক্ষিণ কোণে একটি দোতলা বাড়ি আছে সেটির নাম হল দেহলি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃণালিনী দেবীর সাথে এখানেই বসবাস করতেন। পরবর্তীকালে তার নাম অনুসারে এটির নাম হয় মৃণালিনী আনন্দ পাঠসালা।এই দেহলির পাশেই যে খড়ের চালের বাড়ি আছে সেটই হল নুতন বাড়ি। দেহলির ঠিক বিপরীতে আছে মৃণালিনী ছাত্রী নিবাস। এটি বিশ্বভারতীর ছাত্রীদের হোস্টেল। মৃণালিনী আনন্দ পাঠসালা ও মৃণালিনী ছাত্রী নিবাসের মাঝখানদিয়ে কাঁকর বিছানো একটি রাস্তা চলে গেছে। তার দুইদিক সারি সারি শাল গাছ দিয়ে ঘেরা, এটিই শালবীথি নামে পরিচিত।

ঘণ্টাতলা

শালবীথির মাঝামাঝি স্থানে গৌরপ্রাঙ্গণে বটগাছের নীচে ‘ঘন্টাতলা’। প্রাচীন বৌদ্ধস্তুপের বা সাঁচিস্তুপের আদলে এটি তৈরি। এই ঘন্টাধ্বনি অনুসারে ক্লাস হয়।

  বকুলবীথি ছাতিম 

 তলার ঠিক দক্ষিনে রয়েছে বকুলবীথি, যা পাঠভবনের অংশ। এখানে রয়েছে প্রচুর বকুল গাছ আর তার থেকেই এর নাম হয়েছে বকুলবীথি। বেশ কয়েকটি গাছের নিচে কাঁকর বিছানো আর বেদি করা, এখানেই হয় পাঠভবনের ক্লাস।