ভ্রমণ পিপাসুদের পুজোয় নয়া ডেস্টিনেশন শিবখোলা

ভ্রমণ পিপাসুদের পুজোয় নয়া ডেস্টিনেশন শিবখোলা

পুজোর কলকাতায় বড় শব্দ। হাজারো আলো। আর ভীষণ চেনা হইচই। বছরভর কোলাহলে হাঁপিয়ে ওঠা মন নিস্তব্ধতা খোঁজে। তখনই ছুট দেয়। কাছে পিঠে নৈঃশব্দের প্রান্তরে। ইট কাঠ কংক্রিটের কোলাহল পেরিয়ে দে ছুট। প্রকৃতির কোলে। পুজো ডেস্টিনেশন। জঙ্গলঘেরা পাহাড়ি পথ। এঁকেবেঁকে টয়ট্রেন। জানলা দিয়ে গহীন জঙ্গল।পাহাড়ের ঢালে চা বাগান। পাতা তুলতে ব্যস্ত মেয়ে।

আর খরস্রোতা পাহাড়ি নদী। কোথাও ময়ূর। কোথাও রঙবেরঙের প্রজাপতি। নানারকম পাখি পাখালি। সব পেরিয়ে নিঃঝুম প্রকৃতির মাঝে শিবখোলা। পুজোর ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের ঠিকানা হতেই পারে পাহাড়ের কোলে শিবখোলা। এনজেপির টিকিট আগেই কাটা হয়ে গেছে?ডেস্টিনেশন ফিক্সড? তার মাঝেই সময় চুরি করে দু-একদিন কাটিয়ে আসতে পারেন শিবখোলা অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পে।

একদিকে পাহাড়ি চা বাগান। অন্যদিকে মহানন্দা অভয়ারণ্য। তার মাঝে একটুকরো পাহাড়ি জনপদ। কিভাবে যাবেন? শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ঘণ্টাখানেকের পথ। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রংটং।  শিলিগুড়ি জংশন থেকে টয়ট্রেনেও আসা যায়।যাওয়ার পথেই পরবে সিপাইধুড়া চা বাগান। কিছুটা পেরলে নরবুং চা-বাগান। রয়েছে সিমরিং, গিতাংগিয়া চা বাগান। বলতে পারেন চা-বাগান ঘেরা জার্নি। নিঃঝুম রাতে পাহাড়ী নদীর কলকল শব্দ। নাম না-জানা পাখির ডাকে সন্ধ্যা নামে। সুয্যি ওঠে শিবখোলায়।

শিবখোলা ইকো ট্যুরিজিম সেন্টারে পাঁচটি কটেজ। তার মধ্যে তিনটি তাঁবু। বাকি দুটো বাঁশের কটেজ। প্রাকৃতিক ভারসাম্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তৈরি সবকিছু। মাথাপিছু খরচ তেরশো কুড়ি টাকা। মিলবে পাহাড়ি পথে ট্রেকিং। বার্ড ওয়াচিং সেন্টার। শীতের কমলালেবুর বাগান। কৌতুহল আর আকর্ষণের তালিকাটা বেশ লম্বা।

চাইলে দেখে আসতে পারেন চা পাতা তোলা থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং পর্যন্ত।নিজের হাতে শিখতে পারেন চা বানাবার কায়দা কানুন। সেখান থেকে নদী পেরিয়ে হেটেই পৌঁছতে হবে ইকো সেন্টারে। এক রাত কটেজে কাটিয়ে গাড়ি রিজার্ভ করে নীচে সুকনায় মহানন্দা অভয়ারণ্যেও যেতে পারেন পর্যটকরা। ভাগ্য ভাল হলে দেখা হয়ে যেতে পারে হাতি বা লেপার্ডের সঙ্গে।সব মিলিয়ে এবার পুজোয় হতেই পারে জমজমাট এক অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপ।