ফ্রিজে রাখা কোন কোন খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর

ফ্রিজে রাখা কোন কোন খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর

ব্যস্ত সময়ে খাবার ফ্রিজে রেখেই খান সকলে। কিন্তু জানেন কী, আপনি যদি মনে করেন যে, খাবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্রিজে রেখে দিয়ে খেলে কোনও রকম সমস্যা হবে না তাহলে আপনি ভুল। তাই যেকোনও খাবার ফ্রিজে রেখে খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। তার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেই খাবারের খাদ্যগুণ তো নষ্ট হয়ই সেইসঙ্গে সেই খাবারে শরীরে রোগ-ব্যধি বাসা বাধতে পারে। তাই জেনে নিন কোন খাবার কতদিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যেতে পারে—

 Amazon-এ চলছে সেল

কফি : কফি পাউডার ফ্রিজে রাখলে কফির গন্ধটাই উবে যায়। ফ্রিজের ভেতরে তাপমাত্রা খুব কম থাকে, ফলে কফি পাউডার শুকিয়ে যায় এবং গন্ধ চলে যায়। তাই কফি পাউডার রাখতে হবে ফ্রিজের বাইরে। তার জন্য দরকার উপযুক্ত এয়ার টাইট পাত্র। নাহলে হাওয়া ঢুকে পাউডার দলা পাকিয়ে যায়।

দুগ্ধজাত দ্রব্য : দুধ সাধারণত আমরা ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। তবে কার্টনে দুধ রাখা যেতেই পারে ফ্রিজে। কিন্তু কার্টন খুললেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমনি পনিরও ক্রমাগত ফ্রিজে রাখলে আর বের করলে একসময় খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

 Amazon-এ চলছে সেল

মধু : মধুর মধ্যে থাকা সুগার ঠান্ডা হাওয়ায় কেলাসিত হয়ে যায়, যা মধুর স্বাদ ও গুণাগুণ একদম কমিয়ে দেয়। তাই মধু ফ্রিজের বাইরে রাখাই উচিত।

পেঁয়াজ : ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখলে নরম হয়ে নষ্ট হতে পারে। যদি রাখতেই হয়, ব্যাগে ভরে সবজির ড্রয়ারে রাখতে পারেন। তা না হলে ফ্রিজের আর্দ্রতায় পেঁয়াজ ভালো থাকবে না।

 Amazon-এ চলছে সেল

শাক : কফির মতোই শাক ফ্রিজে রাখলে এর গন্ধ এবং স্বাদ চলে যায়। আবার টসটসা ভাবও যায় কমে। তাই শাক ফ্রিজের বাইরে রাখাই ভালো।

জ্যাম বা জেলি : অনেক সময়ে আমরা জ্যাম বা জেলিকে ফ্রিজে রাখি। তবে তা করলে এর মধ্যে থাকা প্রিজারভেটিবস দানা বেঁধে যায়। তাই তা কখনো করা উচিত নয়।

রসুন : ফ্রিজে রসুন রাখলে বাকি সব খাবারে রসুনের গন্ধ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রসুন রাখুন বাহিরে। শুকনা রসুন বাহিরেই অনেক দিন ভাল থাকে।

লেবু : লেবু ফ্রিজে রাখলে কয়েকদিনের মধ্যে শুকিয়ে যায়। সেই সঙ্গে এর মধ্যে থাকা একাধিক স্বাস্থ্যকর উপাদানের কার্যকারিতাও কমতে শুরু করে। তাই লেবুর গুণাগুণকে কাজে লাগিয়ে শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এবার থেকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন এটিকে।

 Amazon-এ চলছে সেল