কিছু প্রতিদিনের অভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে পারে চোখের অন্ধত্ব

বয়স বাড়ার সঙ্গে, বিশেষত বয়স ৫০ পেরোনোর পর থেকে দৃষ্টিশক্তি ক্রমেই কমতে থাকে, যার ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে কিছু মানুষ চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন সেই বয়সে পা দেওয়ার আগেই। এর জন্য দায়ী হল প্রতিদিনের অতি তুচ্ছ কিছু অভ্যাস।আজ থেকে বাদ দিন নিত্যদিনের এই অভ্যাস। চোখে ইনফেকশন এমন কী অন্ধত্বের মতো সমস্যাও হতে পারে আপনার।
নিয়মিত সাঁতার:— শরীর সুস্থ রাখতে সাঁতারের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু আপনি যদি চশমা কিংবা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার না করেন, তবে সাঁতার কাটলে চোখের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে সবচেয়ে বেশি।পুকুর কিংবা সুইমিং পুলের জলে তাঁদের চোখে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। এমন কী অন্ধ হয়ে যেতে পারেন আপনি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওয়াটার প্রুফ কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করুন।
রোদচশমা ব্যবহারে অবহেলা: প্রখর রোদে বাইরে ঘোরার সময় মনের ভুলে কিংবা নিছক অবহেলায় অনেকেই রোদচশমা ব্যবহার করেন না। রোদচশমা শুধু ফ্যাশন অনুসঙ্গ নয় বরং চোখ ভালো রাখতে এর উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব রয়েছে। সুর্যের অতি-বেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসার কারণে দীর্ঘমেয়াদে চোখে ছানি পড়ার মতো রোগের কারণ হতে পারে রোদচশমা ব্যবহার না করা।
মাসকারা: বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে মাসকারা। আপনার কি মাঝে-মধ্যেই চোখ জ্বালা করে কিংবা লাল হয়ে যায়? তবে তারা ভুলেও মাসকারা ব্যবহার করবেন না। আই-লাইনার কিংবা মাসকারার মতো প্রসাধনী সামগ্রী চোখের ভেতরে অনায়াসে প্রবেশ করে। তা থেকে চোখে সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
চোখ ডলা: চোখে কিছু পড়লে নিজের অজান্তেই আমরা চোখ ডলা শুরু করি, যা মারাত্বক ক্ষতিকর। একাজটি করার মাধ্যমে ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে চোখ লাল হয়ে যায়।
অতিরিক্ত ফোন ও কম্পিউটার ব্যবহার: কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, টেলিভিশন ইত্যাদির দিকে দীর্ঘসময় তাকিয়ে থাকার বদভ্যাসে কমবেশি সবাই আসক্ত। এগুলো থেকে নির্গত আলো চোখ শুষ্ক করে তোলে এবং চোখের পানির উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ফলাফল, চোখে ঝাপসা দেখা।চোখে কোনো সমস্যা হলে নিজে নিজে ডাক্তারি করা অনেক মানুষের একটি বড় ধরনের সমস্যা। উদ্দেশ্য ভালো হলেও তা হিতে বিপরীতই হয় বেশি। আর চোখ হলে তো কথাই নেই। চোখে সমস্যা হলেই কেবল চিকিৎসকের কাছে সবার আগে যাওয়া উচিত।