জেনে নিন চুল রঙের প্রাথমিক কিছু শর্ত

জেনে নিন চুল রঙের প্রাথমিক কিছু শর্ত

আজবাংলা   রাস্তাঘাটে, আপিসে কলেজে মায় হাসপাতালে পর্যন্ত এদিক ওদিক তাকালে বেরঙিন চুল বড়ো একটা চোখে দেখতে পাওয়া যায় না। রামধনুর মত সাত রঙের চুলেরই ছড়াছড়ি আশেপাশে। আর চুলে রং মানে মনে রং। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যে ভাঙে ভুল। চুলে রং করবেন ভেবেছেন?

কোন রং সেটাও নিশ্চয়ই ঠিক করা আছে? তবে শুধু এটুকু জানলেই কিন্তু হবে না৷ আমাদের সবার গায়ের রঙ এক না, কেউ কেউ শ্যামলা, কালো বা ফর্সা। এখন আমাদের চুলের রঙ যদি কালো থাকে আর সেই চুলটাকে যদি আমরা অন্য রঙ এ পরিবর্তন করি বা হাইলাইটাই করি তাহলে আমাদের চেহারায় অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।

আজকের প্রতিবেদনে দেখে নেব এই বিষয়গুলি

১. ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই-  চুলে রং করার বিভিন্ন রকম পদ্ধতি আছে৷ আর প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই চুলের দেখভালের পদ্ধতিও আলাদা৷ ভেবে দেখুন আপনি কতটা মেনটেনেন্স করতে পারবেন৷ তাছাড়াও হেয়ারস্টাইলিস্টকে নিজের জীবনযাত্রা ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে খুলে বলুন, যাতে তিনি আপনার উপযোগী কোনও রং বেছে দিতে পারেন৷


২. শ্যাম্পু করবেন না-  চুলে রং করার আগে শ্যাম্পু করবেন না কারণ শ্যাম্পু আপনার স্কাল্প থেকে স্বাভাবিক তেল শুষে নেবে৷ এতে কালারিং করার সময় স্কাল্পের ক্ষতি হবে৷কালারিংয়ের 24 ঘণ্টা আগে হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে নেবেন এতে চুল আর্দ্র থাকবে৷

৩. সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখুন-  হলিউড থেকে বলিউড, তারকারা মাঝে মাঝে হেয়ার কালার করে তাঁদের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন৷ ইন্সটাগ্রাম থেকে পিন্টারেস্ট ফলো করুন৷ বুঝতে পারবেন এই মুহূর্তে কী ধরনের ট্রেন্ডিং চলছে৷ অবশ্য তার মানে এই নয় যে ওই রংগুলোই আপনাকে বেছে নিতে হবে৷ এগুলো দেখলে আপনার হেয়ার কালার বিষয়ে সম্যক ধারণা হবে৷



৪. হেয়ারস্টাইলিস্টের সঙ্গে কথা বলুন-  আপনার যদি কোনও ব্যক্তিগত হেয়ারস্টাইলিস্ট থাকে তবে তাঁর সঙ্গে কী রং করবেন, কীভাবে করবেন সেই নিয়ে আলোচনা করুন৷ যেহেতু আপনার হেয়ারস্টাইলিস্ট অনেকদিন ধরে আপনার চুল নিয়ে কাজ করছেন তাঁর পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন৷


৫. একটু ভেবে দেখুন-  যদি চুলের জন্য কোন শেড বেছে নেবেন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকে তবে অবশ্যই গাঢ় কোনও শেড বেছে নিন৷ কারণ হাল্কা শেড চুলকে শুষ্ক করে দেয়৷ গাঢ় শেড বেছে নিলে অন্তত চুলের ক্ষতি কম হবে৷