সোমনাথ মন্দিরঃ ভারতের প্রসিদ্ধ শিব মন্দির সোমনাথ মন্দির

সোমনাথ মন্দিরঃ  ভারতের প্রসিদ্ধ শিব মন্দির সোমনাথ মন্দির

সোমনাথ মন্দির ভারতের একটি প্রসিদ্ধ শিব মন্দির। গুজরাতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের ভেরাভলের নিকটে প্রভাস ক্ষেত্রে এই মন্দির অবস্থিত। এটি শিবের দ্বাদশ লিঙ্গের মধ্যে পবিত্রতম। সোমনাথ শব্দটির অর্থ চন্দ্র দেবতার রক্ষাকর্তা। সোমনাথ মন্দিরটি 'চিরন্তন পীঠ' নামেও পরিচিত। কারণ, অতীতে ছয়'বার ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও মন্দিরটি পরে পুনর্নির্মাণ করা হয়।  সোমনাথ মন্দির জুনাগড় থেকে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার দূরে ভেরাবলের কাছাকাছি প্রভাস ক্ষেত্রে অবস্থিত এবং ভারতের পশ্চিম উপকূলের সবচেয়ে পৌরাণিক মন্দির।

সোমনাথ মন্দির হিন্দুদের আদর্শ পবিত্র স্থান যা সময়ের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেয়েছিল। ইতিহাস গবেষণা দ্বারা প্রকাশিত হয় যে, সোমনাথ মন্দির ভারতে আগত বিভিন্ন বাদসা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল যাদের মধ্যে কেউ কেউ এই মন্দিরের কিছু সম্পদ লুট করেন এবং অন্যরা কিছু অংশ ধ্বংস করেন। সোমনাথ মন্দিরের উৎপত্তি এবং অস্তিত্ব সংক্রান্ত তথ্যের সাথে অনেক কিংবদন্তী সংযুক্ত আছে।  সোমনাথ মন্দিরের আরাধ্য দেবতা শিব সোমেশ্বর মহাদেব নামে পরিচিত।

পূরাণ অনুসারে, সত্যযুগে সোমেশ্বর মহাদেব ভৈরবেশ্বর, ত্রেতাযুগে শ্রাবণিকেশ্বর ও দ্বাপর যুগে শ্রীগলেশ্বর নামে পরিচিত ছিলেন। চন্দ্র তাঁর স্ত্রী রোহিণীর প্রতি অত্যধিক আসক্তি বশত অন্য ২৬ জন স্ত্রীকে উপেক্ষা করতে থাকেন। এই ২৬ জন ছিলেন দক্ষ প্রজাপতির কন্যা। এই কারণে দক্ষ চন্দ্রকে ক্ষয়িত হওয়ার অভিশাপ দেন। শাপ থেকে মুক্তি পেতে প্রভাস তীর্থে চন্দ্র শিবের আরাধনা করলে শিব তাঁর অভিশাপ অংশত নির্মূল করেন। এরপর ব্রহ্মার উপদেশে কৃতজ্ঞতাবশত চন্দ্র সোমনাথে একটি সোনার শিবমন্দির নির্মাণ করেন।

পরে রাবণ রৌপ্যে, কৃষ্ণ চন্দনকাঠে এবং রাজা ভীমদেব পাথরের মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। প্রাচীন এই মন্দির ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে বহু ইতিহাস। শোনা যায়, সোমনাথ মন্দিরের স্বর্ণভান্ডারের লোভে গজনির সুলতান মামুদ ১০২৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বহুবার এই মন্দির আক্রমণ করেছিলেন। মন্দিরের রত্ন লুট করেন তিনি। এরপর ইন্দোরের রানি অহল্যাবাঈ নতুন করে এই মন্দির তৈরি করেন। ১৯৫১ সালে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সহযোগিতায় মন্দিরের আমূল সংস্কার করা হয়।

তাঁর মৃত্যুর পর মন্দিরের কাজ এগিয়ে নিয়ে যান অপর এক মন্ত্রী কে এম মুন্সি। সোমনাথ মন্দির বর্তমানে শ্রী সোমনাথ ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হয়।   সোমনাথ শব্দটির অর্থ “চন্দ্র দেবতার রক্ষাকর্তা”। সোমনাথ মন্দিরটি ‘চিরন্তন পীঠ’ নামেও পরিচিত। কারণ অতীতে ছয় বার ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও মন্দিরটি সত্বর পুনর্নিমিত হয়। ১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে জুনাগড়ের ভারতভুক্তির সময় এই অঞ্চল পরিদর্শন করে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বর্তমান মন্দিরটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেন।

তাঁর মৃত্যুর পর মন্দিরের কাজ এগিয়ে নিয়ে যান ভারত সরকারের অপর এক মন্ত্রী কে. এম. মুন্সি।  সোমনাথ মন্দিরের আরাধ্য দেবতা শিব সোমেশ্বর মহাদেব নামেও পরিচিত। পুরাণ মতে, সত্যযুগে সোমেশ্বর মহাদেব ভৈরবেশ্বর, ত্রেতাযুগে শ্রাবণিকেশ্বর ও দ্বাপর যুগে শ্রীগলেশ্বর নামে পরিচিত ছিলেন। চন্দ্র তাঁর স্ত্রী রোহিণীর প্রতি অত্যধিক আসক্তি বশত তাঁর অন্য ছাব্বিশ স্ত্রীকে উপেক্ষা করতে থাকেন। এই ছাব্বিশ জন ছিলেন দক্ষ প্রজাপতির কন্যা। এই কারণে দক্ষ তাঁকে ক্ষয়িত হওয়ার অভিশাপ দেন।

প্রভাস তীর্থে চন্দ্র শিবের আরাধনা করলে শিব তাঁর অভিশাপ অংশত নির্মূল করেন। এরপর ব্রহ্মার উপদেশে কৃতজ্ঞতাবশত চন্দ্র সোমনাথে একটি স্বর্ণ শিবমন্দির নির্মাণ করেন। পরে রাবণ রৌপ্যে, কৃষ্ণ চন্দনকাষ্ঠে পুনর্নিমাণ করেছিলেন। গুজরাটের সোলাঙ্কি শাসক ভীমদেব মন্দিরটি নির্মাণ করেন। উল্লেখ্য, সোলাঙ্কি ছিল ভারতের পাঁচ রাজপুত রাজ্যের অন্যতম। 

 কথিত আছে, সোমনাথের প্রথম মন্দিরটি খ্রিস্টের জন্মের আগে থেকে বিদ্যমান ছিল। গুজরাটের বল্লভীর যাদব রাজারা ৬৪৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় মন্দিরটি নির্মাণ করে দেন। ৭২৫ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধের আরব শাসনকর্তা জুনায়েদ তাঁর সৈন্যবাহিনী পাঠিয়ে এই মন্দিরটি ধ্বংস করে দেন। তারপর ৮১৫ খ্রিস্টাব্দে গুজ্জর প্রতিহার রাজা দ্বিতীয় নাগভট্ট সোমনাথের তৃতীয় মন্দিরটি নির্মাণ করান। এই মন্দিরটি ছিল লাল বেলেপাথরে নির্মিত সুবিশাল একটি মন্দির। মহাভারতেও এই মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে। এই মন্দিরে শিবরাত্রি খুব ধুমধাম সহকারে পুজো করা হয়। এছাড়া প্রতি বছরই এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে নানা পূজো হয়েই থাকে।  

টা বিশ্বাস করা হয় যে সোমনাথ মন্দির বা সোমনাথ পত্তন প্রাচীন কালেও সম পরিমাণে জনপ্রিয় ছিল। সোমনাথ মন্দির পরিচালনা করার জন্য ১০,০০০-টি গ্রাম থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করা হত। প্রাচীন কালেও এই মন্দির দেশের সকল অংশের মানুষের দ্বারা পরিদর্শিত হত। সোমনাথ মন্দির শাশ্বত মন্দির হিসাবে পরিচিত যার মহিমা এবং খ্যাতি পৌরাণিক। এটা বিশ্বাস করা হয় যে চন্দ্র দেব, সোমরাজ স্বর্ণ দ্বারা সোমনাথ মন্দির বা সোমনাথ পত্তন নির্মাণ করেন। পরে রূপা দ্বারা রাবণ এটির পুর্ননির্মাণ করেন।পুনরায় প্রভু বিষ্ণুর অবতার, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ,কাঠ দ্বারা এটি নির্মান করেন। আরও পরে দশম শতকে, রাজা ভীমদেব সোলাঙ্কি পাথর দ্বারা এটি পুনরায় নির্মাণ করেন।