ED-র হাতে গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

ED-র হাতে গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

ED-র হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকাল দিনভর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ED। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না তিনি। শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।এদিন সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে CGO কমপ্লেক্সে।

বর্তমানে তাঁকে নিয়ে নাকতলার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে CGO কমপ্লেক্সে।  পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী অবশ্য বলেন, "এখনও পর্যন্ত কোনও কাগজপত্র দেখানো হয়নি। আমরা CGO কমপ্লেসে যাচ্ছি।" ED সূত্রে খবর, একাধিক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে , আজই আদালতে তোলা হতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে।

 ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ একদিনেরও বেশি সময় ধরে তাঁর নাকতলার বাড়িতেই ছিলেন ED-র আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম নিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। সূত্রের খবর, SSKM-এর চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়।

অন্যদিকে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও আটক করা হয়েছে। অর্পিতার সঙ্গে পার্থর কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টিও নজরে রেখেছেন তদন্তকারীরা।   দুবস্তায় ভরা ছিল ২০০০ এবং ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। ওই বাড়ি থেকে ২০টি মোবাইল ফোনও পাওয়া গিয়েছে বলে ইডির দাবি।

যে নগদ উদ্ধার হয়েছে, তা ব্যাঙ্ককর্মীদের দিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে শনিবার সকাল পর্যন্ত গোনার কাজ চলেছে। ইডি সূত্রের খবর, ওই টাকা স্কুলে বেআইনি নিয়োগে নেওয়া ঘুষের অংশ বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছে তারা। ইডির দাবি, প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টে ও সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন জানিয়েছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশেই সমস্ত নিয়োগ করা হয়েছিল।

উনিই নিয়োগের ক্ষেত্রে মূল নিয়ন্ত্রক ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে নথি সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ করে তা যাচাই করা হয় বলে ইডি সূত্রের খবর। কোনও রকম তলবি নোটিস ছাড়াই শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় পার্থকে ঘুম থেকে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। নাকতলার বাড়িতে পৌঁছনোর পরেই মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী ও দেহরক্ষীদের মোবাইল বন্ধ করার নির্দেশ দেন তদন্তকারীরা।

ইডি সূত্রের দাবি, একই নির্দেশ দেওয়া হয় পার্থকেও। দুপুরে দু’জন আইনজীবীকে বাড়িতে ডেকে পাঠান পার্থ। তবে সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তাঁদের হাজির থাকার অনুমতি দেননি তদন্তকারীরা। ইডি সূত্র জানাচ্ছে, দুপুরে পুলিশের সঙ্গে এসে পার্থের পারিবারিক চিকিৎসক তদন্তকারীদের সামনেই তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। পরে এসএসকেএম থেকে তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও মন্ত্রীকে দেখে যান। তার পরেও চলে জিজ্ঞাসাবাদ।