Heart attack | হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়

Heart attack হার্ট ছাড়া আমরা আমাদের জীবন কল্পনাও করতে পারি না, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলে এর অবিরাম স্পন্দন। তবে আমরা প্রায়শই এই নির্দিষ্ট অঙ্গটির সুরক্ষার প্রতি যত্ন নিই না। হৃৎপিণ্ডে যখনই কিছু সমস্যা আসতে আসে, তার আগে কিছু সতর্কীকরণ লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে যার দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
যা আমাদেক সকলের জানা থাকলে হয়তো কিছু প্রাণ বাঁচতে পারে।এই রোগগুলি থেকে আপনার হৃদয়কে বাঁচানআপনি যদি চান যে আপনি হার্ট অ্যাটাক, করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা ট্রিপল ভেসেল ডিজিজের মতো রোগের ঝুঁকিতে নেই, তাহলে আজ থেকেই হার্টের যত্ন নেওয়া শুরু করা ভাল, এর জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বুকে ব্যথা: সাধারণত বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও হাতে ছড়িয়ে পড়ে থাকে। এই রকম ব্যথা দেখা দিলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া: যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে জল জমা-সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্ট এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
কাশি: আপনার যদি দীর্ঘ দিন কাশির সমস্যা থাকে, এবং তার সঙ্গে সাদা বা কিছুটা ঘোলাটে কফ বের হয়। তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে না। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে হ্যাঁ, কাশি সব সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নাও হতে পারে। কফের সঙ্গে নিয়মিত রক্ত বের হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যদি কাজ করার মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তা হলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে।
তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া: আপনি কি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কিছু ক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে? তবে আপনি এখনই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ এটি।
মাথা ব্যথা: যখনই প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, আমরা ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কি, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হল প্রতিদিনের প্রচণ্ড মাথা ব্যথা?
অনিয়মিত পালস রেট: আপনি যদি অনেক বেশি নার্ভাস থাকেন বা কোথাও থেকে দৌড়ে আসেন আপনার পালস রেট ওঠা-নামা করতে পারে। তবে এটি যখন কোনও কারণ ছাড়াই হয়, তবে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের আগে এমনটা হয়ে থাকে।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন-হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। এর জন্য ওমেগা-৩, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খান। বিশেষ করে খাবারে রসালো ফল, শুকনো ফল খান। বেশি ভাজা এবং মশলাদার জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়- নিয়মিত আপনার ওজন পরীক্ষা করতে থাকুন এবং অযথা বাড়তে দেবেন না। যারা স্থূলকায় তারা নিয়মিত ব্যায়ামের দিকে মনোযোগ দিন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খান, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন বেশি কফিও রক্তচাপ বাড়ায় যা হার্টের জন্য ভালো নয়,ডায়াবেটিক রোগীদের হৃদরোগের প্রবণতা বেশি।চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন নাহাঁটা বা দৌড়ানোর সময় হৃদস্পন্দনে অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করান,যতদূর সম্ভব তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
শারীরিক কার্যকলাপও প্রয়োজনীয়হার্টকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ খুবই জরুরী, অন্যথায় আপনার শরীরের চর্বি সহজে কমে না এবং ফোলা বাড়তে শুরু করে।
সিগারেট অ্যালকোহল থেকে দূরত্ব বজায় রাখুনকিছু খারাপ অভ্যাস আছে যা আমাদের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। বেশিরভাগ যুবক সিগারেট এবং মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে, যার কারণে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ছে। এসব থেকে যত তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন ততই ভালো।