সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব? দেখে নিন করনীয়

আজবাংলা ঘুমের অভাব যেমন মানুষকে নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগায় তেমন অতিরিক্ত ঘুমও মহাক্ষতির কারণ হতে পারে আমাদের জন্য। যারা দিনে ১০-১২ ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিচ্ছেন তারা মোটেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নন।
বিজ্ঞানের ভাষায় অতিরিক্ত ঘুমানোকে সাধারণত Hypersomnia or Hypersomnolence বলে। কেউ যদি ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমায় তবে তাকে অতিরিক্ত ঘুম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আসুন আজকের প্রতিবেদনে দেখে নেব কি করে ঘুম কমানো যেতে পারে।
গরম-ঠাণ্ডা স্নান- ঘুম কম হলে সকালে উঠেই একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে স্নান সেরে নিতে পারেন। একবার গরম জল এবং আরেকবার ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং ক্লান্তি কিংবা ঘুম ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
অক্সিজেন- রাতের ঘুম কম হলে মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে প্রয়োজন বাড়তি অক্সিজেন। বিশেষ ব্যায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্কে বাড়তি অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব। জেনে নিন পদ্ধতিটি।
মেঝেতে কিংবা যে কোনো সমান্তরালে শুয়ে পরুন। এক হাত পাকস্থলী বরাবর রাখুন এবং আরেকটি হাত বুকে রাখুন। নাক দিয়ে গভীর নিঃশ্বাস নিন এবং পেটে রাখা হাত দিয়ে সেটা অনুভব করার চেষ্টা করুন।
মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ছাড়ার সময় পেটে রাখা হাত দিয়ে অনুভব করুন যে পেট ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। পুরো দমটা বের করে দিন।
এভাবে ৫-১০ বার করুন।
চা-কফি বা এনার্জি ড্রিংক নয়- ঘুম কম হলে অনেকেই চা-কফি ইত্যাদি অতিরিক্ত পান করা শুরু করেন। এধরণের পানীয় পান করলে সাময়িক ভাবে তাজা লাগে ঠিকই, তবে এগুলোর অতিরিক্ত চিনির কারণে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হতে পারে।
খোলা আকাশের নিচে যান- রাতে ঘুম না হলে পরের দিন কাজ করতে বসলেই ঘুম পায়। ঘুম পেলে কিছুক্ষণের জন্য খোলা আকাশের নিচে বের হয়ে পড়ুন। দুপুরের খাবারটা বাইরে খেতে পারেন কিংবা ৫-১০ মিনিট বাইরে থেকে হাঁটাহাঁটি করে আসতে পারেন। এতে ঘুম চলে যাবে এবং সতেজ লাগবে।
পর্যাপ্ত আলো- রুমে আলোর স্বল্পতা থাকলে এমনিতেই ঘুম পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই রুমে আলো বাড়িয়ে দিন। সবগুলো লাইট জ্বালিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে প্রাকৃতিক আলো আসার ব্যবস্থা করুন রুমে।
পাওয়ার ন্যাপ- দিনের মাঝামাঝি যেই সময়টাতে ঘুম পায় তখন অল্প একটু ঘুমিয়ে নিন। ১০-২০ মিনিট ঘুমই যথেষ্ট। এই ধরনের ঘুমকে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ বলা হয়। অল্প সময়ের এই ঘুমে আপনি পুরো দিনের কাজের শক্তি ফিরে পাবেন।