অসমের সংঘর্ষের নেপথ্যে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন 'পপুলার ফ্রন্ট

রাজ্যে কৃষি প্রকল্পের জন্য ৪৫০০ বিঘা জমি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে সরকার। এদিন পুলিশ জানায়, দরং জেলায় জবরদখলকারী উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয় মানুষ তাদের দিকে পাথর ছোড়ে। বাধ্য হয়ে তাদের বলপ্রয়োগ করতে হয়। পুলিশ সম্প্রতি চারটি এলাকা থেকে জবরদখলকারী উচ্ছেদ করেছে। তার মধ্যে আছে গরুখুটি এবং ঢোলপুর ১, ২ ও ৩ এলাকা।
তবে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে হওয়া অসমের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের নেপথ্যে রয়েছে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন 'পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া'। এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার অসমের দরং জেলায় অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে দখলদারদের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অসম ( Assam)।
বিক্ষোভকরীদের থামাতে গুলি পুলিশ গুলি চালায়। ফলে মৃত্যু হয় দু'জনের । আহত হন বেশ কয়েজন পুলিশকর্মীও। জানা যায়, দরং জেলার ঢলপুরের গরুখুঁটিতে 'বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের' উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। তখনই সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই প্রতিবাদকারীর। মইনুল হক মারা যান ঢোলপুর ৩ অঞ্চলে। পুলিশের অভিযোগ, তাদের কাজে বাধা দিচ্ছিল দখলদাররা।
উচ্ছেদকার্যে বাধা দিতে অতর্কিতে পুলিশের উপরে শুরু হয় পাথর বৃষ্টি। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনীতি। শুক্রবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অসমের বিজেপি সাংসদ দিলীপ শইকিয়া অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় হাত রয়েছে পপুলার ফ্রন্টের। তিনি বলেন, 'গরুখুঁটিতে যে প্যাটার্ন আমরা দেখেছি তা পপুলার ফ্রন্টের কাজের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
ওই সংগঠনটির উদ্দেশ্য হচ্ছে হিংসা ছড়ানো।' ওই বিজেপি নেতা আরও বলেন ঘটনার নেপথ্যে অন্য রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনও থাকতে পারে। বলে রাখা ভাল, ব্রহ্মপুত্রের চর অঞ্চলে মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের বসবাস। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে জবরদখলকারী উচ্ছেদ ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনা।