কৃষ্ণনগর পৌর প্রশাসক মন্ডলের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ তুললে বিক্ষোভ তৃণমূলের

কৃষ্ণনগর নদীয়ার কৃষ্ণনগরে পৌরসভার আবাস যোজনার ঘর নিয়ে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ । অভিযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের প্রশাসক মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এককথায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলাই ভালো । এইদিন কৃষ্ণনগর পৌরসভা মড়ে কৃষ্ণনগর পৌরসভার 24 টি ওয়ার্ড থেকে কমবেশি মহিলারা জড়ো হন।
কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে এবং সেখানে হাতে কোনরকম দলীয় পতাকা না থাকলেও মুখে তৃণমূলের স্লোগান এবং পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ।সেখানে লেখা - এইচ এফ এর গরিবের বাড়ি তৈরি করতেই সম্রাট পাল কে কেন টাকা দিতে হবে পৌর প্রশাসক নরেশ দাস জবাব দাও । 11 নম্বর ওয়ার্ডের আশীষ ঘোষ এর তিনতলা মার্বেল করা বাড়ি থাকতে ।
সঞ্জয় বস এবং জয়ন্ত সাহা কে এক লক্ষ টাকা দিয়ে এইচ এফ এ বাড়ি পেল কি করে নরেশ দাস জবাব দাও । এইচ এফ এর বাড়ি তৈরীর জন্য জয়ন্ত সাহা কে টাকা দিতে হবে কেন নরেশ দাস জবাব দাও । এরকম একাধিক পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিক্ষিপ্ত তৃণমূল কর্মীর সমর্থকরা । যদিও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের একাংশ। তবে এই নিয়ে নদীয়া জেলার উত্তরের তৃনমূলের জেলা সভাপতি জয়ন্ত সাহা কোনো রকম মন্তব্য করতে চাননি ।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বক্তব্য তাদের অভিযোগের ওপর সিলমোহর পড়েছে বলে জানান। বলেন তৃণমূলেরই একাংশ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন কাটমানি ইস্যুতে এবং এই কথাগুলি তারা বারেবারে তুলেছেন বিভিন্ন ইস্যুতে। তাদের নৈতিক জয় বলেই মনে করছেন বিজেপির একাংশ ।
সামনেই পৌরসভা ভোট তবে কি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে কি হতে চলেছে পৌরসভার ফলাফল? তা সময়ই বলবে। যদিও এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে জনসাধারণ বিজেপিকে ভোট দেবে এবং তৃণমূলের পৌরসভা দখল করবে বলে জানান বিজেপির দলীয় নেতৃত্ব।