রুপচর্চায় গাজরের উপকারিতা
গাজরের উপকার সম্পর্কে কম বেশি সবারই জানা। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের যত্নে অতুলনীয়। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের কোষ রিস্টোর করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এর ভিটামিন ‘এ’ পিগমেন্টেশন, অকালে কুঁচকে যাওয়া এবং ডার্ক স্পট থেকে বাঁচায় এবং এন্টি এজিং হিসেবে কাজ করে। গাজর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি রোদে পোড়া ভাব দূর করে খুব সহজেই। ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণে গাজর কার্যকরী।
বিউটিশিয়ানরা শুষ্ক এবং তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের ক্ষেত্রে গাজরের ফেসপ্যাক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। জেনে নিন ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন গাজরের ফেসপ্যাক—
শুষ্ক ত্বকের যত্নে : ৩ টেবিল চামচ গাজরের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ শসার পেস্ট মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে। পাশাপাশি টানটান থাকবে ত্বক।
চুলের সমস্যা : ত্বকের মতো চুলের সমস্যা সমাধানে গাজর বেশ কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন আর খনিজ উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে। আর গাজরের ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই মাথার তালুর রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। এ জন্য চুলে লাগাতে পারেন গাজরের তেল।
ফেসপ্যাক : সুন্দর উজ্জ্বল, দাগহীন ত্বক পেতে ছোট এক টুকরো গাজর ও এক টুকরো পেঁপে ভালো করে ধুয়ে তাকে পেস্ট করুন। অল্প একটু দুধ দিন মিশ্রণে। এবার এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগান ও ২০ মিনিট পর কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ইউভি রশ্মির বিরুদ্ধে : বিটা ক্যারোটিন সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মির ক্ষতির বিরুদ্ধে বাইরে ও ভেতর থেকে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। এ ছাড়া আলট্রাভায়োলেট রশ্মির ফলে ত্বকের কোষের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করতে পারে এটি। এ জন্য প্রতিদিন সবার উচিত ছোট বা বড় যেকোনো আকৃতির গাজর খাওয়া বা এর জুস পান করা।