উত্তর আমেরিকা মহাদেশ

উত্তর আমেরিকা মহাদেশ

সর্বশেষ বরফ যুগের সময় বেরিং ভূসেতু অতিক্রম করে উত্তর আমেরিকাতে প্রথম মানব বসতি শুরু হয়। তথা-কথিত প্রত্ন-ভারতীয় যুগের সমাপ্তি হয়, প্রায় ১০,০০০ বছর পূর্বে মধ্য-ভারতীয় যুগের শুরুতে। ধ্রুপদী যুগ ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে ১৩তম শতাব্দী পর্যন্ত স্হায়ী হয়েছিল। প্রাক-কলাম্বীয় যুগের সমাপ্তি ঘটে ইউরোপীয়দের আগমনের সাথে সাথে, আবিষ্কার যুগ এবং আধুনিক যুগের শুরুতে।

বর্তমান যুগের অধিবাসিদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও জাতিগত বিন্যাসে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক, আদিবাসী আমেরিকান, আফ্রিকান দাস এবং তাদের বংশধরদের প্রভাব বিদ্যমান। তন্মধ্যে মহাদেশটির উত্তরাংশে ইউরোপীয় প্রভাব এবং দক্ষিণাংশে আদিবাসী আমেরিকান ও আফ্রিকান প্রভাব সুস্পষ্ট। ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাবে অধিকাংশ উত্তর আমেরিকানরা মূলত ইংরেজি, স্পেনীয় এবং ফরাসি ভাষায় কথা বলে। তাছাড়া সেখানকার সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থাগুলো সাধারণত পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে।

উত্তর আমেরিকার অধিকাংশ আয়তন জুড়ে তিনটি বৃহৎ দেশ ও একটি বিশাল দ্বীপাঞ্চল রয়েছে। তারা হল কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং গ্রিনল্যান্ড। এছাড়াও রয়েছে ক্ষুদ্রতর সাতটি দেশ (সম্মিলিতভাবে মধ্য আমেরিকা নামে পরিচিত), ক্যারিবিয়ানে প্রায় চব্বিশটি দ্বীপ জাতি এবং বিভিন্ন আয়তনের এলাকা। যদিও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলগুলো উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অংশ, কিন্তু সংস্কৃতি ও ভূ-প্রকৃতিগত কারণে এদেরকে সাধারণত তাদের উত্তরের বৃহত্তর প্রতিবেশীদের থেকে আলাদা হিসেবে গণ্য করা হয়। 

উত্তর আমেরিকার আয়তন ২৪,৭০৯,০০০ বর্গ কি.মি. (৯,৫৪০,০০০ বর্গ মাইল), যা পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রায় ৪.৮% এবং ভূ-পৃষ্ঠের ১৬.৫%। ২০০৭ সালে এই মহাদেশে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫২ কোটি। আয়তনের দিক থেকে উত্তর আমেরিকা এশিয়া ও আফ্রিকার পরে ৩য় বৃহত্তমমহাদেশ এবং জনসংখ্যার বিচারে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের পরে ৪র্থ বৃহত্তম মহাদেশ। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ,   কানাডা , মেক্সিকো , এল সালভাদর  , কোস্টারিকা ,  গুয়েতেমালা,  নিকারাগুয়া,  হন্ডুরাস , পানামা , এন্টিগুয়া ও বারমুডা ,  কিউবা , গ্রানাডা, জ্যামাইকা , ডোমিনিকা , ডোমিনিকান রিপাবলিক,  ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ,বার্বাডোস ,বাহামা দ্বীপপুঞ্জ, বেলিজ, সেন্ট কিটস, সেন্ট ভিনসেন্ট, সেন্ট লুসিয়া, হাইতি ,অ্যাঙ্গুইলা, কেউম্যান দ্বীপপুঞ্জ, বারমুডা, পোয়েটরিকো