নদীয়ায় পাওনা টাকার আদায় করতে অপহরণ যুবক ও তার বৃদ্ধ অসুস্থ বাবাকে

নদীয়ায় পাওনা টাকার আদায় করতে অপহরণ যুবক ও তার বৃদ্ধ অসুস্থ বাবাকে

শান্তিপুর - নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগদেবীপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীকে এবং তার অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে গতকাল সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ বন্দুক,ছুরি ধারালো দা নিয়ে 50 জন দুষ্কৃতী মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যান বলেই পরিবারের দাবি। অপহৃত ওই 40 বছর বয়সী ঐ যুবকের নাম বিজয় সরকার, এবং তার সত্তরোর্ধ্ব অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা চিত্তরঞ্জন সরকারকে  বিবস্ত্র করে মুখ এবং চোখ বেঁধে নিয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের।

বৃদ্ধের স্ত্রী অনিতা সরকার জানান, পরিবারে চার মহিলাকে শ্রীলতাহানি এবং মারধর করে বাদ দেয়নি শিশুদেরও। বৃদ্ধের অপর এক পুত্র প্রসেনজিৎ সরকার বলেন ব্যবসায়িক কারণে দাদা চার লাখ 75 হাজার টাকা ধার নিয়েছিল স্থানীয় হারাধন সরকার ডাকনাম কালুর কাছ থেকে লকডাউন এর আগে, এবং তা আমরা পরিবারের সকলে স্বীকার করি। এমনকি এ বিষয়ে দুই পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি আলোচনা সভা বসে ।

তবে দীর্ঘদিন লকডাউনে কাজ না থাকার কারণে দিতে একটু দেরি হচ্ছিল তার মধ্যে অধৈর্য হয়ে, গতকাল এই অপহরণ করে। অপহৃত বিজয় সরকারের স্ত্রী শিখা সরকার বলেন গতকাল সন্ধ্যায় কারেন্ট অফ ছিলো  তার মধ্যে প্রবল বৃষ্টি আর আগত 50- 60 জন প্রত্যেকের মুখে  কালো কাপড় বাঁধা ছিলো তার মধ্যেই, হারাধন এবং স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ মন্ডল এর ছেলে রাহুল মন্ডল কে চিনতে পেরেছি।

এরপর আমরা শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে, প্রশাসন এসে হারাধন এবং রাহুলকে খুঁজে পাইনি, তবে রাহুলের বাবা পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ মন্ডলকে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে নিয়ে যায়। পরিবারের সকলের দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাদের পরিবারের দুজন এখন কোথায় আছে তার সদুত্তর মেলেনি।  আগেও দুই পঞ্চায়েত সদস্য বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছিলো, কিন্তু তা বলে মৃত্যু-হুমকি এবং অপহরণ? যোগ্য শাস্তি দাবি করেছেন পরিবার।

আতঙ্কে গোটা পরিবার শান্তিপুর থানার শরণাপন্ন হয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় একসময় সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন বিজয় সরকার‌। এ প্রসঙ্গে সিপিআইএম শান্তিপুর জোনাল কমিটি সম্পাদক সৌমেন মাহাতো জানান, পঞ্চায়েত সদস্যদের বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও, পঞ্চায়েত সদস্যর ছেলে সরাসরি অপহরণে যুক্ত। আইন ব্যবস্থা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তৃণমূলের অপশাসন ছাড়া আর কিছু নয়। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস জানান, বিষয়টি জানা নেই তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। তৃণমূলের কোন সদস্য এ ধরনের কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারে না।