লটারি রাতারাতি কোটিপতি করে দিল বর্ধমানের অ্যাম্বুল্যান্স চালকে

ভাগ্যের চাকা কখন যে কোন দিকে ঘোরে কে বা বলতে পারে! অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে সংসার চালাতে জেরবার বর্ধমানের শেখ হীরা এখন কোটিপতি। লটারির টিকিটে এক নিমেষে ভাগ্য বদলে গেল তাঁর। লটারিতে কোটি টাকা জেতার পর নিজেও যেন ঘাবড়ে গিয়েছেন শেখ হীরা। মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কাটতেন এই অ্যাম্বুল্যান্স চালক। যদি পাল্টে ফেলা যায় জীবনের গতি, এই আশায়।
সেই স্বপ্ন যে এভাবে বাস্তবায়িত হবে কে তা জানত! বুধবার কাটা টিকিটে বৃহস্পতিবার প্রথম পুরস্কার হিসাবে এক কোটি টাকা পেলেন শেখ হীরা। তারপরেই হতভম্ভ শেষ হীরা বলছেন, এত টাকা কি করব! কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। ঘরে অসুস্থ মা। টাকার অভাবে চিকিত্সা করাতে পারছিলেন না। এবার মাকে ভাল ডাক্তার দেখানো যাবে। বললেন তিনি।
একটা পাকা ঘরেরও যে স্বপ্ন রয়েছে। লটারি টিকিট কাটার প্রতি ঝোঁক তাঁর অনেক দিনের। কিন্তু এভাবে যে কোটি টাকা জিতে যাবেন তা ভাবতেও পারেননি। চাপা আতঙ্ক আর উদ্বেগে শেষ পর্যন্ত শক্তিগড় থানার দ্বারস্থ হন শেখ হীরা।
যে দোকান থেকে ওই কোটি টাকার লটারি টিকিট কিনেছিলেন তিনি, সেই দোকানটি বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাম এলাকায়। টিকিট বিক্রেতা শেখ হানিফ জানান, বহু বছর ধরে লটারির টিকিটের ব্যবসা করছেন। কিন্তু কোনও বার এত বড় পুরস্কার তাঁর দোকান থেকে ওঠেনি। এবার একেবারে প্রথম পুরস্কার ওঠায় দোকানের বিক্রিবাটা বাড়বে বলেই তাঁর আশা।
অন্যদিকে খুশিতে ডগমগ লটারির বিক্রেতাও, শরণ্যা নার্সিংহোমের পাশে সাহিল লটারি দোকান থেকেই টিকিট কিনেছিলেন হীরা। টিকিট বিক্রেতা শেখ হানিফ জানান, এবার তাঁর দোকানেও ভিড় বাড়বে। প্রথম পুরস্কার জেতার খবর শুনে আনন্দে আত্মহারা শেখ হীরা। যদিও এখনও সেই টাকা তিনি পাননি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিনি সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।