বিশ্বের সবচেয়ে সৌন্দর্যময় ও অদ্ভুত সমুদ্র সৈকত
ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। এদের কাছে যদি জানতে চান সমুদ্র না পাহাড়, তাদের কোনটি ভালো লাগে। বেশিরভাগের কাছ থেকেই আপনি উত্তর পাবেন সমুদ্র। অবাক হওয়ার কিছুই নেই। সমুদ্র কার না ভালো লাগে! কমলালেবুর আকৃতির এই পৃথিবীর মোট আয়তনের বেশিরভাগটাই পানি। আর সমুদ্রগুলো তার তীর সাজিয়েছে বালি আর পাথরের স্তরে।
নানা রকম সামুদ্রিক প্রাণী এবং নোনা পানির প্রেমে মানুষ বার বার পড়েছেন। এজন্যই তো বিশ্বের কয়েকটি দেশ আছে যেখানে শুধু মাত্র সমুদ্র সৈকতের কারণে মানুষের এতো আনাগোনা। একটি গবেষণায় দেখা যায়, যে দেশগুলোতে সমুদ্র সৈকত রয়েছে, সেখানে পর্যটকের সংখ্যাও বেশি। তবে বিশ্বে অনেক সৈকত থাকলেও দৈর্ঘ্য আর সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেশ কয়েকটি—
হোয়াইট হ্যাভেন বিচ : এটি অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতটি প্রায় ৭ মাইল এলাকা জুড়ে অবস্থান করেছে। এই বিচ অপরূপ সৌন্দর্য এখানকার সাদা বালির জন্য। এই বালিতে ৯৮℅ সিলিকা সমৃদ্ধ থাকার জন্য শ্বেত বর্ণ ধারণ করেছে। এই বালি তাপ ধরে রাখতে পারে না। এখানে গেলে আপনাকে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
প্লায়া দেল আমর : এই সমুদ্র সৈকতটি মেক্সিকোর পুয়ের্তোর ভ্যালার্তা উপকূল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি মানুষের কাছে লুকানো সৈকত নামে পরিচিত। একটি স্থানে গিয়ে গোলাকৃতির সুইমিংপুলের আকার ধারণ করেছে। কমবয়সী তরুণ তরুণীদের কাছে এই সৈকত খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
নাভাগিও : এটি গ্ৰীসের জোকিন্থাসের উপকূলীয় লুনিয়ায় দ্বীপের নিকটে অবস্থিত। গ্রিক ভাষায় এই সৈকতকে বলা হয় সর্বনাশের সৈকত। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত যেখানে চোরাকারবারিরা জাহাজ নিয়ে আসে। এই সৈকতের মূল আকর্ষণ হল পেছনের পাহাড় এবং নীল জলের সমুদ্র।
মরুভূমির সৈকত : এই সৈকতের আয়তন প্রায় এক হাজার ৫৫০ বর্গকিলোমিটার। এটি ব্রাজিলের ম্যারানহাও নামক স্থানে অবস্থিত। এখানে রয়েছে ম্যানগ্ৰোভ অরন্য, ও তার সাথে সাদা বালুকাময় মরভূমির সৈকত। বালির মধ্যে নীলাভ হ্রদ বা লেগুনের সৃষ্টি করেকরে যা এই সমুদ্র সৈকতকে অপরুপ সৌন্দর্য দিয়েছে।
গোলাপি সৈকত : এই সমুদ্র সৈকতটি বাহামায় অবস্থিত। এই সমুদ্রের মূল সৌন্দর্যই হচ্ছে এর মিষ্টি গোলাপি রং। রোদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং সমুদ্রের জল তলের হ্রাস পেলে এই গোলাপি বালিময় সৈকতটি একটি প্রাকৃতিক বিস্ময়ের সৃষ্টি করে।
প্রদীপ্ত সৈকত : এই সৈকতটি মালদ্বীপে অবস্থিত। এই সৈকতগুলিকে বলা হয় বায়োলুমিনেসেন্ট বীচ। এখানকার সমুদ্র তীরে অবস্থিত হাজার হাজার ফাইটোপ্ল্যাংটন উদ্ভিদ যেগুলো সামান্য ঢেউয়ের আঘাতেই আলো নিঃসরণ করে যা সৈকতটিকে নীলাভ দেখায়।
গালাপাগোস : আমাদের এই পৃথিবীতে লাল সমুদ্র সৈকত ও আছে। এটি অবস্থিত ইকুয়েডরে। এই সৈকতটি লাল হওয়ার কারণ হল এখানে অনেক আগ্নেয়গিরি আছে। আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা নির্গমনের ফলে লাভা এবং সমুদ্রের কোরালের সাথে জলের মিশ্রণ প্রভৃতির ফলস্বরূপ এখানকার ভূমিরূপটি লাল রং ধারণ করেছে।