বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইসক্রিম যার এক স্কুপের দাম ৬০০০০ টাকা

বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইসক্রিম যার এক স্কুপের দাম ৬০০০০ টাকা

ভাবুন তো একবার, আইসক্রিমে  যদি পান সোনার স্বাদ! তাহলে কেমন হত? ভাবছেন আইসক্রিমের সঙ্গে সোনার কী সম্পর্ক! ব্যাপারটা বুঝতে হলে নয় দুবাই যেতে হবে, নয় পড়তে হবে বিশদে। এবার আসল গল্পে আসি। দুবাই তো সোনার খনি। এ তো নতুন কোনও তথ্য নয়। দুবাইয়ে যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই সোনার ঝলক। তবে আইসক্রিমেও যে থাকবে সোনা, তা দেখেই কপালে উঠবে চোখ। তার থেকেই হতবাক হবে এই সোনায় মোড়া আইসক্রিমের দাম জানলে।

 Amazon-এ চলছে সেল

সোনার বিরিয়ানির' পর এবার 'সোনার আইসক্রিম'। দুবাইতে চলছে দামী খাবারের 'প্রতিযোগিতা'। ক'দিন আগেই ২০ হাজার টাকার বিরিয়ানির খবর শুনে চোখ কপালে উঠেছিল বিশ্ববাসীর। এবার রক্তচাপ বাড়াতে এল ৬০ হাজার টাকার আইসক্রিম।

দুবাইয়ে বেশ জনপ্রিয় স্কুপি ক্যাফে। সেখানেই পাওয়া যায় স্পেশাল এক আইসক্রিম। নাম তার 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড' যার দাম ৬০ হাজার টাকা। 

 Amazon-এ চলছে সেল

কী বিশেষত্ব রয়েছে এই আইসক্রিমে ?

দুবাইয়ের সবথেকে দামী আইসক্রিম তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় ম্যাডাগাসকর ভ্যানিলা।সঙ্গে মেশানো হয় ইটালিয়ান ট্রাফলস। ৬০ হাজারি এই ভ্যানিলা আইসক্রিমের ওপরে ছড়ানো হয় ইরানের জাফরান। সবশেষে আইক্রিমের ওপরে দেওয়া হয় ২৩ ক্যারেট গোল্ড ফ্লেকস। যা মূল্যবান থেকে নিমেষে মহামূল্যবান করে তোলে আইসক্রিমকে। জানা গিয়েছে, এই আইসক্রিম দেওয়া হয় জনপ্রিয় ব্যান্ড ভার্সাচির এক বাটিতে। ভ্যানিলা আইসক্রিমের মধ্যে ছড়ানো থাকে সোনা। ভ্যানিলার স্বাদের সঙ্গে মিশে যায় সোনার স্বাদ।

২০১৫ সাল থেকে এই ক্যাফেতে বিক্রি শুরু হয় ব্ল্যাক ডায়মন্ড আইসক্রিম। রাতারাতিই জনপ্রিয়তা লাভ করে ফেলে ক্যাফের এই সোনার আইসক্রিম। ভ্যানিলা আইসক্রিমের উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ২৩ ক্যারেট সোনা।

 Amazon-এ চলছে সেল

তবে এই প্রথমবার নয়। বরবারই দামী খাবারের উদ্ভাবন জারি রেখেছে দুবাইয়ের স্কুপি ক্যাফে। ৬০ হাজারি আইসক্রিম ছাড়াও তাদের মেনুতে রয়েছে সোনার কাপুচিনো কফি ছাড়াও গোল্ড বার্গার। এ সবই ২৩ ক্যারেট গোল্ড ফ্লেকস দিয়ে তৈরি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বলছে, বিশ্বের সবথেকে দামী 'ডেজার্ট' ফ্রোজেন হট চকোলেট। নিউ ইয়র্কের সেরন্ডিপিটি ৩ রেস্তরাঁয় পাওয়া যায় এই ডেজার্ট। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ লক্ষ টাকা।