হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কার করে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

আজবাংলা জীবন শুধু নয়, অর্থনীতির পক্ষেও বিজ্ঞানের এমন খোঁজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কোভিডের হানাদারিতে সেটা এখন ভাল ভাবে টের পাচ্ছে বিশ্ব। লিভার ক্যানসার ও লিভার সিরোসিসের কারণ, রক্তবাহিত এই হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের সন্ধান দিয়ে অলটাররা সেটারই প্রমাণ রেখেছিলেন। মেডিসিনে নোবেল পেলেন হার্ভে জে অল্টার, মাইকেল হটন, চার্লস এম।
হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কার করে পৃথিবীকে বাঁচিয়েছিলেন এই ত্রয়ী।সোমবার স্টকহোমে নোবেল পুরস্কার কমিটির প্রধান থমাস পার্লম্যান ঘোষণা করলেন আমেরিকান বিজ্ঞানী চার্লস এম ও হার্ভে জে অল্টার এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল হটনের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে ৭০ মিলিয়নের বেশি মানুষ হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত। সবথেকে ভয়ঙ্কর হল, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৪ লক্ষ মানু্ষের মৃত্যু হয় এই ভাইরাসের কোপে। দীর্ঘস্থায়ী এই রোগটি। লিভারের প্রদাহ এবং ক্যান্সারের একটি বড় কারণ হেপাটাইটিস।
পুরস্কারের স্মারক হিসেবে দেওয়া হবে একটি সোনার মেডেল এবং ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার অর্থাত্ ১,১১৮,০০০ ডলার টাকা।নোবেল জুরির বক্তব্য, 'রক্তজনিত হেপাটাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নির্ধারিত অবদানের জন্য সম্মানিত করা হচ্ছে এই তিন বিজ্ঞানীকে। সারা বিশ্বের মানুষ এই ভয়ানক রোগে ভুগতে পারে। কোনও একটি দেশের বিশেষ রোগ নয় এটি।
এর ফলে দেহে লিভার সিরোসিস এবং লিভারের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।'হেপাটাইটিসের আক্রমণ থেকে অবশ্য মুক্তি মেলেনি এখনও। এখনও প্রতি বছর এই রোগে বিশ্বের ৭ কোটি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মৃত্যু হচ্ছে ৪ লক্ষের। তবে ক্রনিক হেপাটাইটিসের কারণ জানা, হেপাটাইটিস সি সংক্রমণ চিহ্নিত করার জন্য রক্ত পরীক্ষা এবং সম্ভাব্য ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে অলটারদের আবিষ্কার।
অলটার জানিয়েছিলেন, অনেকের ক্রনিক হেপাটাইটিসের পিছনে রয়েছে অভিন্ন একটি অজানা ভাইরাস। হাওটন সেই ভাইরাসের জিনোমকে আলাদা করার পথ দেখান। রাইস দেখান, অন্য কোনও কারণ ছাড়া, এই নতুন ভাইরাসটি একাই হেপাটাইটিস ঘটাতে পারে।