শরীরে মারাত্মক তিন রোগ ডেকে আনতে পারে তেলাপিয়া মাছ

শরীরে মারাত্মক তিন রোগ ডেকে আনতে পারে তেলাপিয়া মাছ

মাছে ভাতে বাঙালি! মাছ দিয়ে ঢেকুর তুলে দুপুরের ভাতটা না খেলে কী আর মন ভরে?একসময় তেলাপিয়া মাছ নিয়ে বাঙালি নাট সিঁটকালেও বর্তমানে এ মাছই খাবারের তালিকায় অন্যতম। তেলাপিয়া এখন বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় একটি মাছ।মাছ চাষের ক্ষেত্রেও তেলাপিয়া মাছ চাষ বেশ জনপ্রিয় এবং সাথে লাভজনকও বটে। দামেও কম, স্বাদও ভালো তাই তেলাপিয়া মাছের জনপ্রিয়তাই ভিন্ন।

এছাড়া বাচ্চারাও বেশ পছন্দ করে এই মাছ । কারণ এই মাছে কাঁটাও কম, ভাজা-বারবিকিউ সবই সহজে রান্না করা যায়। ফলে এককথায় তেলাপিয়ার জনপ্রিয়তা খণ্ডন করা যাবে না।কিন্তু আপনি কি জানেন, বিশেষজ্ঞরা, এই মাছ খেতে বারণ করেন। কারণ কী? আসুন জেনে নিই ভালো করে সেগুলোঃ

# তেলাপিয়া মাছ কিন্তু পরোক্ষভাবে আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রাণঘাতী রোগের কারণ হতে পারে।

# খামারে চাষ করা হয় এই তেলাপিয়া মাছ।

# এই মাছকে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা খামারে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়।

# এই খাবার খেয়েই তেলাপিয়া মাছের শরীরে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। যা আমাদের দেহের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর।

# তেলাপিয়া মাছে ডিবুটাইলিন নামক এক প্রকার কেমিক্যাল জমা হয় ।

# হাঁস মুরগীর বিষ্ঠা খেয়ে বড় হওয়া এই মাছ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে বহুগুণে।

# শুধু তাই নয় একইসাথে ক্যানসার, হৃদরোগ, হাঁপানির মতো রোগও সৃষ্টি করতে পারে তেলাপিয়া।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) গবেষকরা দাবি করেন যে, তেলাপিয়া মাছ খেলে মরণব্যাধি ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।এশিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া তেলাপিয়া মাছগুলোর ওপর গবেষণা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ।গবেষণায় তাঁরা এসব তেলাপিয়া মাছের দেহে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক বিষ খুঁজে পান।

৮০০-র বেশি নমুনা পরীক্ষা করেছিলেন এর আগে তাঁরা। সে পরীক্ষায় 'ডিবিউটিলিন' এবং 'ডাইঅক্সিন' নামক মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি পান তেলাপিয়ার মাংসে।উল্লেখযোগ্য যে, এই 'ডিবিউটিলিন' প্লাস্টিকের বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি মানবদেহে ঢুক্লে স্থুলতা, হাঁপানি, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ তৈরি করতে পারে।

এছাড়াও ভয়ংকর রাসায়নিক 'ডাইঅক্সিন' মানবদেহে প্রবেশ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। অনেকেরই ধারণা থাকে, আমিষ খেতে না পারলে শরীরে শক্তি পাওয়া যাবে না। সেটি ল্কোন যুক্তিযুক্ত কথা নয়। আমিষ খেয়ে ক্ষতি হওয়ার চাইতে বরং নিরামিষ খাবার খান, শাক সবজি সেদ্ধ , কাঁচা মুগ, বাদাম, ডিম এসবে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।

আরো পড়ুন      জীবনী  মন্দির দর্শন  ইতিহাস  ধর্ম  জেলা শহর   শেয়ার বাজার  কালীপূজা  যোগ ব্যায়াম  আজকের রাশিফল  পুজা পাঠ  দুর্গাপুজো ব্রত কথা   মিউচুয়াল ফান্ড  বিনিয়োগ  জ্যোতিষশাস্ত্র  টোটকা  লক্ষ্মী পূজা  ভ্রমণ  বার্ষিক রাশিফল  মাসিক রাশিফল  সাপ্তাহিক রাশিফল  আজ বিশেষ  রান্নাঘর  প্রাপ্তবয়স্ক  বাংলা পঞ্জিকা