গোয়া বিধানসভার ভোটে গেরুয়া ঝড়ে কোন আসন পেল না তৃণমূল

গোয়া বিধানসভার ভোটে গেরুয়া ঝড়ে কোন  আসন পেল না তৃণমূল

পশ্চিম ভারতের এই সমুদ্রশহরে হাড্ডাহাড্ডি ল়ড়াই হওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস-বিজেপির। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল, কংগ্রেস অনেকটা পিছিয়েই রয়েছে বিজেপি-র থেকে। Goa Assembly Election -এ সেভাবে খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। তা নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ শুরুর আগেই পরাজয় মেনে নিল জোড়াফুল শিবির। বৃহস্পতিবার AITC Goa -র টুইট বার্তা, "আমরা মানুষের রায় মেনে নিচ্ছি।

সমস্ত গ্লানি স্বীকার করছি।"  তৃণমূলের টুইটে আরও বলা হয়,"আমরা কঠোর পরিশ্রম করে গোয়ানিজদের মনজয়ের চেষ্টা করব। মানুষের জন্য কাজ করব। গোয়ার বাসিন্দাদের জন্য কাজ করে তাঁদের ভালোবাসা অর্জন করব। যত সময় লাগে লাগুক। আমরা এখানে থেকে গোয়ার মানুষের হয়ে কাজ চালিয়ে যাব।  ৪০ আসনের বিধানসভায় সরকার গঠনের ‘জাদু সংখ্যা’ ২১।

বেলা তিনটে পর্যন্ত যা ফলাফল, তাতে গোয়ায় বিজেপি পেয়েছে ২০টি আসন। ‘জাদু সংখ্যা’-র থেকে মাত্র একটি কম। কংগ্রেস পেয়েছে ১১টি আসন। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি পেয়েছে ১টি আসন। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) পেয়েছে ২টি আসন। অরবিন্দ কেজরীবালের আপ পেয়েছে ২টি আসন।

৪টি আসন পেয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। গোয়ায় বিজেপি-র বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রমোদ সবন্তের মন্তব্য, ‘‘এই জয়ের কৃতিত্ব দলের কর্মীদের। গোয়ায় বিজেপি সরকার গড়ছে।’’ তিনিই জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলেই সরকার গঠনের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। ত্রিপুরার পর কোঙ্কন উপকূলের রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছিল তৃণমূল। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার ওই রাজ্যে গিয়েছেন। প্রচার চালিয়েছেন। AITC Goa-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর হাতে। গোয়ার বেশ কিছু কংগ্রেস ও BJP নেতা তৃণমূলে যোগও দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাও দাগ কাটতে পারেনি