তৃণমূল নেতা অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ১৫০ কোটির সম্পত্তি?

অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata) দেহরক্ষী (BodyGuard) সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বিপুল সম্পত্তির (Property) হদিশ পাচ্ছে সিবিআই। সিবিআই (CBI) এখনও পর্যন্ত যা জানতে পেরেছে, তাতে সম্পত্তির খতিয়ান হল এইরকম। দশটি ডাম্পার যার মধ্যে ৩ টি রেজিস্টার্ড, একটি ক্রাশার, ৪৫ টি দলিল, (রাজারহাট, লেকটাউন, ডোমকল এবং সল্টলেকের অভিজাত এলাকায়), ৬ টি ফ্ল্যাট (২ টি বোলপুর, ২ টি লেকটাউন, ২ টি কলকাতা),
বোলপুরে ১ টি প্রাসাদোপম বাড়ি, পাঁচটি ক্রাশারের খোঁজ চলছে, নগদ ২ কোটি টাকা। মোট প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মিলছে। এছাড়া একটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রভাবশালীর যোগসূত্র রয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, গরু পাচারের ব্যবসার টাকা পাথর, বালি এবং নাসিক থেকে আসা পেঁয়াজের ব্যবসাতে বিনিয়োগ করা করা হত। আর্থিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে লেনদেনের কথাও উঠে আসছে সূত্র থেকে।
সিবিআইয়ের প্রশ্ন, একজন পুলিস কনস্টেবলের পক্ষে এত সম্পত্তি কীভাবে করা সম্ভব। সম্প্রতি, বোলপুরে কাশীপুর মোড়ের কাছে সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় ৫ সদস্যের সিবিআই দল। আয় বহির্ভূত রোজগারের হিসাব দিতে না পারার কারণে সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যায় সিবিআই সূত্রে। উল্লেখ্য, এর আগে তাঁর ডোমকলের বাড়ি ও নিউটাউনের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই।
অন্যদিকে, গত বুধবার বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের তিন ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল, আব্দুল করিম এবং জিয়াউল হকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১৭ লক্ষ টাকা, একাধিক নথিপত্র এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সিবিআই। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তলব করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআই-এর গোয়েন্দারা অনুমান করছেন,
তাঁদের হাতে যে নথি রয়েছে, তার সাথে শেষবার অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারের মামলায় যে বয়ান দিয়েছিলেন, তার কোনও মিল নেই। এই সমস্ত নথি উদ্ধারের পর সেবিষয়ে নিশ্চিত হতেই এই তলব।সূত্রের খবর, আজই দুপুরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন অনুব্রত। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।