BSF-এর গুলিতে বাংলাদেশি গরু পাচারকারী মৃত্যুতে ফুঁসে উঠল তৃণমূল নেতা উদয়ন

BSF-এর গুলিতে  বাংলাদেশি গরু পাচারকারী মৃত্যুতে ফুঁসে  উঠল তৃণমূল  নেতা উদয়ন

সাতভাণ্ডারী কাণ্ডে বিএসএফের ( BSF ) বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। বিধানসভা থেকে করা সাংবাদিক বৈঠকে ধিক্কার জানালেন তিনি। বললেন, 'কেন্দ্র অবিলম্বে বিএসএফকে নিয়ন্ত্রণ করুক। নাহলে যে কোনও সময় ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে।' শুক্রবার ভোররাতে কোচবিহারের (Cooch Behar) সাতভাণ্ডারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ জনের। 

রাতে কোচবিহারের সাতভাণ্ডারি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন গরু পাচারকারীর মৃত্যু হল। আহত হয়েছেন এক বিএসএফ জওয়ান। বিবৃতি দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।  সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ বাংলাদেশের দিক থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতী ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। গরু পাচারের চেষ্টা করে তারা। 

প্রাথমিকভাবে বিএসএফের তরফে সতর্ক করা হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি পাচারকারীরা। বিএসএফ মামুলি অস্ত্র (প্রাণঘাতক নয়) ব্যবহার করলেও পাচারকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। বিপদ বুঝে গুলি চালায় বিএসএফ।  নিহতরা হলেন  - বাংলাদেশের উপজেলার লোহাকুচি এলাকার মালগড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. ভাষানি (৪০) ও একই এলাকার মুসলিম উদ্দিনের ছেলে মো. ইদ্রিস আলী (৪২)।  তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয়। তাঁর নাম প্রকাশ বর্মণ।

বাংলাদেশের গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহামুদুল ইসলাম বলেন, গরু আনতে ভারত সীমান্ত অতিক্রম করলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে নিহত হন। বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ওই সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন রাখাল ভারতে অভ্যন্তরে গিয়ে গরু আনতে যান। ভোরে গরু নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় টহলরত ভারতীয় কোচবিহারের ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন সাতভান্ডারিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। 

 এই ঘটনায় বিএসএফের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করলেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই বিএসএফের অত্যাচার দেখে আসছি। ওরা বরাবর সীমান্ত এলাকার মানুষদের উপর নির্যাতন করে।' উদয়ন গুহর দাবি, বিএসএফের মদতেই সীমান্তে চোরাচালান চলে। তাঁর অভিযোগ, ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা হওয়ার কারণেই মাঝে মধ্যে গুলি চালায় জওয়ানরা।

এরপরই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি। বলেন, 'কোনও পরিস্থিতিতেই হত্যা করতে পারে না বিএসএফ। ' উল্লেখ্য, রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারির পরিসর বাড়ছে। ১৫ কিলোমিটারের বদলে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে প্রয়োজনে গ্রেপ্তারও করতে পারবে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল বিএসএফের আওতাধীন এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের স্পষ্ট আপত্তি রয়েছে। বুধবার বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব আনবে শাসকদল।