তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরে নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুন মুর্শিদাবাদে

নদিয়ার তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে খুন করা হল মুর্শিদাবাদের নওদাতে। ঘিরে ধরে তাকে নিশানা করে গুলি, বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। মৃতের নাম মণিরুল ইসলাম(৪৫)। তিনি নদিয়ার করিমপুর ২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী ও তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। নদিয়ার তৃণমূল পরিচালিত নারায়ণপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীনা বিশ্বাসের স্বামী, এবং তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদায় ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক নিরাপত্তারক্ষী-সহ দু’জন। তিনজন একটাই মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন। অভিযোগ, মাঝ রাস্তায় ওত পেতে ছিল দুষ্কৃতীরা। প্রথমে বাইক লক্ষ্য করে তারা বোমা ছোড়ে। তিন আরোহী বাইক থেকে ছিটকে পড়লে একদম কাছে এসে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনাস্থল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তাঁকে বাঁচানো যায়নি। মৃত তৃণমূল নেতার ভাই এই ঘটনায় সরাসরি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায়, তৃণমূলেরই নওদা ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান শেখ ওরফে হাবিব মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ তুলেছেন দলেরই একাংশ!
তৃণমূল নেতা ( TMC ) মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করল নিহতের পরিবার। যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর ( FIR ) হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক ও নওদার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউজাম্মান শেখ।
যে কারণে এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ( TMC Inner Clash ) তত্ত্বই জোরাল হয়েছে। এদিন সূত্রের খবর, নওদার শিবতলা এলাকা এলাকায় ৩-৪জন বাইক নিয়ে আসে। এরপরই শুরু হয় বোমাবাজি। মতিরুলকে ঘিরে ধরে শুরু হয় বোমাবাজি। অপারেশন চালিয়েই চম্পট দেয় তারা।
তৃণমূল নেতা সাজিজুর হকের দাবি, আমাদের দক্ষ সংগঠককে খুন করে দিল। গুলি করা হয়েছে। মারা গিয়েছেন। ভাটার শেয়ার নিয়েও গণ্ডগোল ছিল। চক্রান্ত করে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হল। নওদার ব্লক নেতা খুনের মদতদাতা।খুন করার হুমকি আগে থেকেই ছিল। প্রশাসন জানা সত্ত্বেও কেন তাকে মার্ডার করা হল।