পুর ভোটে লম্ফঝম্ফ করে তৃণমূলের বঙ্গের নেতা-মন্ত্রীরা উধাও ত্রিপুরা থেকে

পুর ভোটে লম্ফঝম্ফ করে তৃণমূলের বঙ্গের নেতা-মন্ত্রীরা উধাও ত্রিপুরা থেকে

পুর ও নগর ভোট সাঙ্গ হতে না হতেই ত্রিপুরায় নেতিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের আর কোন সাংগঠনিক ক্রিয়াকলাপ লক্ষা করা যাচ্চে না রাজ্যে। ত্রিপুরা সহ অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা করেও তেমন সুবিধা করতে পাড়ছে না। সর্বভারতীয় স্তরে দলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পিসি ভাইপো। ২৪এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অবিজেপি দলগুলিকে নিয়ে মঞ্চ তৈরীর স্বপ্ণ ফেরি করতে গিয়েও ধাক্কা খেলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী।

তাতে স্পষ্ট যে কংগ্রেস- তৃণমূলের দূরত্ব বেড়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি শতবর্ষ প্রাচীন কংগ্রেস দলকে বাদ দিয়ে মমতা অবিজেপি দলগুলিকে নিয়ে যে মঞ্চ তৈরী করার চেষ্টা করেছিলেন তা কার্য্যত ফ্লপ হয়েছে। মূলতঃ সংকীর্ণ রাজনৈতিক চিন্তাধারার জন্যই অবিজেপি দলগুলির সাথে মমতার বনিবনা হচ্ছে না। কংগ্রেসকে একঘরে করতে গিয়ে এখন কার্য্যত তৃণমূল কংগ্রেসই একঘরে হয়ে যাওয়ার অবস্থায়।

সংকীর্ণ স্বার্থের কারণে মমতার তৃণমূল বাংলার বাইরে বারবার বিপর্যস্ত হচ্ছে। ত্রিপুরায় পুর ভোটের প্রক্কালে ঝাকে ঝাকে বঙ্গের তৃণমূল নেতারা রাজ্যে এসেছেন। ভোটের বাজার গরম করেছেন। হামলা হুজ্জুতির অভিযোগ তুলে ভোটের ময়দানে অস্তিত্বের জানান দিয়েছিলেন বঙ্গ নেতারা। ভোট শেষ হতেই উধাও হয়ে গিয়েছেন। এদিকে, তৃণমূলের চাষাবাদা করার জন্য যে কজন কর্মী সমর্থক ছিলেন তারাও এখন হাওয়া।

স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে দিয়ে বঙ্গ নেতারা যে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়েছিলেন তা ভোট পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে। ছন্নছাড়া অবস্থায় দলের ওই কমিটি। এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গের নেতারা নিজ রাজ্যেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাংলায় পুর ভোটের তত্‍পরতা চলছে। নেতা নেত্রীরা ওই রাজ্যের নিজেদের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে ব্যস্ত।

ত্রিপুরার দিকে নজর দেয়ার সময় নেই। তার উপর দলের সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জী গোয়া নিয়েও হম্বিতম্বি করছেন। সর্বভারতীয় স্তরে ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অবিজেপি দলগুলিকে নিয়ে জোটের বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই জোটের ক্ষেত্রে মমতা নিজের স্বার্থটাই প্রাধান্য দেয়াও শতবর্ষ প্রাচীন কংগ্রেসের তরফ থেকে কোন সাড়া দেওয়া হচ্ছে না।

কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলেও দলের সংগঠন এখনও দেশের প্রতি ব্লকে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী মঙ্গলবার বিভিন্ন দলের নেতাদের সাথে আলোচনা করেছেন। কিন্তু, মমতা নেই ওই আলোচনায়। তাতে রাজনৈতিক মহলের অভিমত সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে মমতা যে চাল চেলেছিলেন তা বুমেরাং হয়েছে।