দলীয় পদ দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে তৃণমূল বিধায়ক বাড়িতে ভাঙচুর

দলীয় পদ দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে  তৃণমূল বিধায়ক বাড়িতে ভাঙচুর

দলীয় পদ দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলির (Idris Ali) বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সোমবার রাতে অনুগামীদের নিয়ে বিধায়কের বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় কুঠিরামপুর অঞ্চল সভাপতি মোস্তাফা শেখ। গাড়ি ও আসবাবপত্রে ভাঙচুর চালানো হয়।

ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন বিধায়ক (TMC MLA of Bhagabangola)। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনার পর সোমবার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার সঙ্গে মূল অভিযুক্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Murshidabad Medical College and Hospital) ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

 কাউকে অঞ্চল সভাপতি, কাউকে ব্লক সভাপতি করে দেওয়ার নামে বিপুল অঙ্কের টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিধায়ককে টাকা দিয়েও মেলেনি পদ। উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার জেরে রদবদল করা হচ্ছে জেলার সাংগঠনিক পদগুলিতে।

এর জন্য সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করেন মুর্শিদাবাদের বিধায়ক। আর সেখানেই জেলার ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতিদের নামের একটি তালিকা সামনে আসে। যদিও দলের জন্য মোটা টাকা দেওয়ার পরও সেই তালিকায় মোস্তাফা শেখ সহ একাধিক জনের নাম ছিল না বলে অভিযোগ। আর এরপরই ইদ্রিস আলির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।

মোস্তাফা শেখ জানান, জেলার সাংগঠনিক পদগুলিতে রদবদল করা হচ্ছে। তাঁকে ফের অঞ্চল সভাপতি করার নামে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছিলেন বিধায়ক। কিন্তু, সেই তালিকায় তাঁর নাম নেই বলে অভিযোগ। এরপর সোমবার রাতে মোস্তফা শেখ দলবল নিয়ে বিধায়কের ভগবানগোলার বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ।  

পাশাপাশি স্থানীয় এক তৃণমূলকর্মীর অভিযোগ, গিয়াসউদ্দিন নামে এক কর্মীকে ব্লক সভাপতি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিধায়ক ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। এছাড়া অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ইদ্রিস লাখ লাখ টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের।  যদিও তাঁর বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইদ্রিস আলি।

তিনি বলেন, "টাকা তোলার কোনও বিষয় নেই। সম্পূর্ণ ভুল অভিযোগ। মোস্তাফা নিজে খেতে পায় না সে আমাকে কেমন করে পাঁচ লাখ টাকা দেবে? আসলে দলের একটা মিটিং করার কথা ছিল। সেই মিটিং অনেক দেরিতে শুরু হয়। এদিকে মোস্তাফা শেখ সেই বৈঠকে থাকবে না বলে জানায়। এদিকে তাকে ছাড়াই আমরা বৈঠক করব বলে ঠিক করি। তখন সে ভাবে যে তাকে ছাড়াই দলের বৈঠক হচ্ছে। সেই রাগেই তারপর রাতে আমার বাড়ির সামনে হামলা চালায়।" এই ঘটনায় ইদ্রিস বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন পুলিশের কাছে।