মালদায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে

মালদায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে

মালদা   বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।  বিবাহিত মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহবাসের অভিযোগ।  সেই মহিলা অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে সম্পর্ক অস্বীকার।  যদিও সমগ্র ঘটনা অস্বীকার করে চক্রান্ত বলে দাবি প্রধানের।  গতকালই এক তরুণীকে অশ্লীল প্রস্তাব দিয়ে খবরের শিরোনামে তৃণমূলের এক পুরপ্রধান।

এবার মালদার কালিয়াচকের এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এমনকি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে পুলিশে নালিশ জানানোয় অসহায় ওই মহিলাকে প্রাণ-নাশের হুমকি এবং গ্রাম ছাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মহিলার বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার এলাকায়। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কালিয়াচক ৩ ব্লকের বিননগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদে রয়েছেন।

গত ১ নভেম্বর নির্যাতিতা ওই মহিলা কালিয়াচক থানায় পঞ্চায়েত প্রধান পল্টু মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর তারপর থেকে শুরু হয়েছে চরম শোরগোল। যদিও বিননগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য,  তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে । তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, এক মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশকে অভিযোগে নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, তিনি বিবাহিত । তার দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তার স্বামী ভিন রাজ্যের কর্মরত। কিন্তু স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়েই পঞ্চায়েত প্রধান পল্টু মন্ডল আমার সাথে ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত তিন বছর ধরে আমার সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করে। বর্তমানে তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এর আগেও একবার অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় বাইরে নিয়ে গিয়ে সেই সন্তান নষ্ট করায় অভিযুক্ত। মহিলা আরো অভিযোগ, বিষয়টি আমার স্বামী জানতে পারার পর তাকে এখন বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছে। কিন্তু পল্টু মন্ডলকে বিয়ে করার কথা বলা হলে, তিনি গত তিন মাস ধরে তার সাথে কোন রকম যোগাযোগ রাখে নি।

এখন নাবালিকা কন্যা সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবেন, পেটের সন্তানের কি করবেন কোন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত প্রধানকে নিজের স্বামী হিসেবে দাবি করলে তাকে প্রাণ-নাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার পিছনে বৈষ্ণবনগর এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মদত যোগাচ্ছে বলে ওই মহিলা অভিযোগে জানিয়েছেন। এমনকি টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করারও কথার জন্য চাপ দিচ্ছে বিননগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পল্টু মন্ডল। পুরো বিষয়টি নিয়ে এখন মানবাধিকার কমিশন এবং আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন নির্যাতিতা মহিলা।