বিজেপি ছাড়লেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বিরোধী সুদীপ রায় বর্মণ

বিজেপি  ছাড়লেন  ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বিরোধী  সুদীপ রায় বর্মণ

তিনি বরাবরই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বিরোধী বলে পরিচিত। এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও সুবিদিত। এমনকী ত্রিপুরা পুরসভা নির্বাচনের আগে পুলিশকে চিঠি দিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতেও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। যিনি দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে আর লড়বেন না তিনি।

আর এবার জল্পনা সত্যি করে বিধায়ক পদ ও দল থেকে ইস্তফা দিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। ত্রিপুরা বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ। বিধায়ক পদ ও দল থেকে পদত্যাগ করলেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং বিধায়ক আশিষ সাহা। আর এদিনই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন তাঁরা। দল ছাড়ার আগে অবশ্য বিপ্লব দেবের নামে বিষোদগার করেছেন সুদীপ। 

 বিপ্লব দেবের সঙ্গে বারবার প্রকাশ্য সংঘাতে জড়িয়েছেন সুদীপ। বিজেপি-র হয়ে আর ভোটে দাঁড়াবেন না, সুদীপের এই ঘোষণার পর অনেকে বলেছিলেন, সুদীপ তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। আবার এক পক্ষ বলছেন, কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়বেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। কারণ তাঁর থেকে মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন সুদীপবাবু।  সুদীপ বলেছিলেন, ‘‌২০২৩ সালের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে আর লড়ব না।

ওই টিকিটে আর আগ্রহ নেই।’‌ এদিকে, ইতিমধ্যেই বিধায়ক আশিস দাস বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আর এবার সুদীপের পদত্যাগ। স্বাভাবিক কারণেই এই পরিস্থিতিতে চাপে ত্রিপুরার বিজেপি। প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে একসময় পরিচিত ছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। এদিকে, ত্রিপুরার পুরসভা নির্বাচনে 'দ্বিতীয় স্থানে' উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাই সুদীপ তৃণমূল কংগ্রেসে যেতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।