ত্রিপুরায় মসজিদের উপর হামলার কি বিপ্লবের সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা

শুক্রবার ত্রিপুরা রাজ্য জমিয়ত উলেমা (হিন্দ) অভিযোগ করে যে বাংলাদেশে সহিংসতার পর রাজ্যের কিছু কিছু মসজিদ এবং সংখ্যালঘু আবাস হামলার শিকার হয়েছে। রাজ্য সরকারকে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে সংগঠনটি। গোষ্ঠীটি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতারও নিন্দা করেছে। পাশাপাশি তাদের দাবি, দুষ্কৃতীরা ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলাটি ত্রিপুরা লাগোয়া। তাই ওপারের অশান্তির প্রভাব এপারে ছড়িয়ে পড়ার একটি আশঙ্কা ছিল। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই পারের শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কার্যালয় এবং রাজ্যের পুলিশের ডিজির কাছে অভিযোগ পত্র জমা দিয়ে এসেছে।
তাঁরা হামলা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তোলেন। তাছাড়া ঘটনার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলা হয়। আগরতলার গেদু মিয়া মসজিদে সংগঠনের সভাপতি মুফতি তায়েবউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, 'ত্রিপুরার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউ বাংলাদেশে এই ধরনের সহিংসতা সমর্থন করে না। আমরা এর প্রতিবাদও করেছি।
' তিনি যোগ করেন যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু মসজিদ এবং আবাসিক এলাকায় হামলা হয়েছে। বেশিরভাগ হামলাই ত্রিপুরার পশ্চিম, উত্তর এবং গোমতি জেলায় হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ' এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যকলাপ যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বত্র কড়া নজর রাখছেন আমাদের দলের কর্মীরা। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সেলের সদস্যরা নজর রাখছেন পরিস্থিতির উপর।' এদিকে সিপিএম সচিব জিতেন্দ্র চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন যে শান্তি বজায় রাখতে রাজ্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।