জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি ১২ জন শিশু

তনুজ জৈন হরিশ্চন্দ্রপুর অক্টোবর মাসেই আসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এরকমটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের কিছু মহল। সরকার এবং স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বারবার সচেতন থাকার কথা বলা হচ্ছে। ভ্যাকসিন নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে। এদিকে যেহেতু শিশুদের এখনো ভ্যাকসিন তেমন ভাবে হয়নি। তাই তৃতীয় ঢেউ এলে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
জানিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং চিকিৎসকেরা বারবার সচেতন করেছে। তারই মাঝে চিন্তা বাড়িয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে জ্বর এবং সাথে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে প্রচুর শিশু ভর্তি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে এর প্রকোপ অনেকটাই বেশি দেখা গেছে। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে এদের কোনটাই করোনা নয়। কিন্তু এই জ্বরে বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা শোনা গেছে।
আর তার মাঝেই নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। এই মুহূর্তে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রায় ১২ জন শিশু জ্বর এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভর্তি। কারোর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। ঘটনায় নজর রাখছে ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। যদিও হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার জানাচ্ছেন শিশুরা সুস্থ হয়ে ফিরছে। তবে তার মাঝে যে চিত্রটা বেশি উদ্বেগজনক তাহলে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার মানুষের অসচেতনতা। সামনে উৎসবের মরশুম। উৎসবের আনন্দে সকলেই মাতোয়ারা হয়ে উঠছে।
চলছে বাজারহাট কেনাকাটা। কিন্তু তার মাঝে স্বাস্থ্যবিধির কথা যেন সকলেই ভুলে গেছে। মাস্ক পড়তে যেন ভুলে গেছে সকলে। করোনার অস্তিত্ব কেউই মানতে চাইছে না। যা যথেষ্ট ভয়ের। যে ভাবে চারিদিকে শিশুদের শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শোনা যাচ্ছে সেখানে মানুষের উচিত এখনই সচেতন হয়ে যাওয়া। সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে উৎসবে আনন্দ করা। না তো বিপদ আবার আসবে বলায় বাহুল্য। জ্বর নিয়ে কন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন সাহেদা বিবি তিনি বলেন, " বাচ্চাটার জ্বর। রাতের সময় জ্বর বেশি আসছে।
তাই তাকে দেখাতে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখনও দেখানো হয়নি। জ্বরের সঙ্গে সরদি, কাঁশি রয়েছে। " বিতল থেকে জ্বরে আক্রান্ত নয় মাসের শিশু কে নিয়ে এসেছেন বাবা নুরুদ্দিন তিনি বলেন, " তিন চারদিন ধরে বাচ্চাটার সর্দি কাশি। সাথে মাঝে মাঝে জ্বর আসছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। ডাক্তার বলেছে ঠিক হয়ে যাবে। করোনা পরীক্ষা করতে বলেনি। বেশ অনেকজন বাচ্চা অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছে এখন।" হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক ছোটন মন্ডল বলেন," বাচ্চারা জ্বর সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি হচ্ছে ঠিকই।
সাথে বাচ্চারা সুস্থ হয়েও যাচ্ছে। সুস্থ হওয়ার হার ভালো। কোন শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এই সময়ে স্বাভাবিক ভাবে জ্বর একটু বেশি হয়। তাই অন্য সময়ের থেকে এই সময় জ্বর নিয়ে বেশি বাচ্চা ভর্তি। কয়েকজনের করোনার স্যাম্পল টেস্ট হয়েছে। কারোর পজেটিভ আসেনি। তবে আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত। অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হয়েছে। এখানে অক্সিজেন উৎপাদন হবে।
দিয়ে মূল লাইন দিয়ে সাপ্লাই করা হবে। দুটি ওয়ার্ডে। যদিও তার দরকার এখনো পড়েনি।" এই কথা ঠিক এই সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়। তাই স্বাভাবিকভাবে ঘরে ঘরে জ্বর বেশি হয়। তবে যেভাবে এই বছর বাচ্চাদের জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। সেখান থেকে সময় থাকতে মানুষের সচেতন হওয়া উচিত। তৎপর হওয়া উচিত স্বাস্থ্য বিভাগকে। কারণ আগে থেকে সচেতন থাকলে বিপদ কে প্রতিহত করা যায়।