কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিলন বিজেপির দুই বিধায়ক

কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়ে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিলন  বিজেপির দুই বিধায়ক

দলের সংগঠন নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বাঁকুড়া (Bankura News) জেলা থেকে নির্বাচিত বিজেপি-র(BJP West Bengal) একাধিক বিধায়ক। দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়া, দলের নতুন সভাপতিদের বদলের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। একের পর এক ঘটনায় দলের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলার চার বিধায়ক।

এবার তাঁদের মধ্যেই দু' জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়ে আবেদন জানালেন (BJP MLA to give up Central Security)৷ ফলে ওই দুই বিধায়কের ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা নিয়েও বিজেপি-র অন্দরে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে৷  কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়ে আবেদন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমর নাথ শাখা৷ একই আবেদন করেছেন ইন্দাস বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধাড়াও।

এই দুই বিজেপি বিধায়ক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়তে চেয়েছেন। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের প্রত্যাহার করতে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন দুই বিধায়কই। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পর সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার ৮ বিজেপি বিধায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের।

প্রত্যেকের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয় ৫ জন করে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী। এবার সেই নিরাপত্তারক্ষী ছাড়তে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন এই দুই বিধায়ক। হঠাৎ কী এমন হল যে কেন্দ্রের দেওয়া নিরাপত্তারক্ষীদের প্রত্যাহারের আবেদন জানালেন দুই বিধায়ক? তা নিয়েই এখন জোর জল্পনা জেলা বিজেপি-র অন্দরে৷  বিজেপি বিধায়ক অমর নাথা শাখা দাবি , ব্যক্তিগত কারণেই নিরাপত্তারক্ষীদের প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

প্রথম থেকেই তাঁরা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চাননি বলে দাবি করেছেন ওই বিধায়ক৷ একই দাবি করেছেন আর বিধায়ক নির্মল ধাড়াও? তবে কারণনিয়ে খোলসা করেননি দুই বিধায়ক। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরে রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের বিজেপি নেতার নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছিল৷ তাঁদের মধ্যে অনেকের নিরাপত্তা যেমন পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেরকমই অনেকে নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়ে দলও ছেড়েছেন৷ সেই তালিকায় রয়েছেন একাধিক বিধায়কও৷ বাঁকুড়ার দুই বিধায়কও সেই তালিকায় নাম লেখান কি না, সেটাই এখন দেখার৷