বীরভূমে গ্রেপ্তার এটিএম জালিয়াতির পান্ডা হরিয়ানার আসলাম সহ দুই

বীরভূমে গ্রেপ্তার  এটিএম জালিয়াতির পান্ডা হরিয়ানার আসলাম সহ দুই

হরিয়ানা থেকে তারাপীঠের হোটেলে এসে অভিনব কায়দায় জালিয়াতি। এটিএম (ATM) জালিয়াতি চক্রের তিন পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল বীরভূমের (Birbhum) মুরারই থানার পুলিশ। আন্তঃরাজ্য জালিয়াতির চক্রের তিনজনই হরিয়ানার (Haryana) বাসিন্দা। শুক্রবার নাকা চেকিংয়ের সময় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে মুরারই থানার পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, ''এই চক্রটিকে জালে আনা জেলা পুলিশের বড়সড় সাফল্য।

এদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, এটিএম কার্ড, একাধিক সিম উদ্ধার করা গিয়েছে। এই কাজে আরও বড় কোনও চক্র জড়িত আছে কিনা, তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।'' পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারাপীঠের (Tarapith) একটি বেসরকারি হোটেলে কয়েকদিন আগে এসে ওঠে হরিয়ানার তিন বাসিন্দা - শেখ আসলাম, আজাহারউদ্দিন ও তাসাবার হোসেন। সেখানে থেকেই তারাপীঠ, রামপুরহাট এলাকায় অভিনব কায়দায় এটিএম থেকে টাকা তুলে নিত চক্রটি। শুক্রবার মুরারই থানার পুলিশের নাকা চেকিংযের সময় তিনজন ধরা পড়ে।

শনিবার ধৃত তিনজনকে আদালতে তোলা হলে তাদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। কোন কায়দায় এটিএম জালিয়াতি চালাত চক্রটি? জানা গিয়েছে, এটিএম কার্ড হাতিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা তোলার জন্য কাউন্টারে ঢুকত তারা। কিন্তু টাকা মেশিন থেকে বেরিয়ে আসার আগেই এটিএমের উপরের ঢাকনা খুলে সব টাকা তুলে নেওয়া হতো। ফলে, গ্রাহকের কাছে টাকা উঠে যাওয়ার কোনও মেসেজ যেত না। আবার যদি পাস বইয়ে টাকা কেট নিত, সে টাকা পায়নি বলে চিঠি করে ফের ব্যাংকের কাছে টাকা আদায় করে নিত চক্রটি।

তাতে যে সংস্থা এটিএমে টাকা ভরার দায়িত্বে ছিল, তাদের উপরই দায় বর্তাত। প্রযুক্তির এই জটিলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশ জুড়ে এটিএম জালিয়াতি চালিয়ে যেত হরিয়ানার এই চক্রটি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএমে টাকা ভরতে যাওয়া সংস্থা থানায় অভিযোগ জানায়, এটিএমে টাকা ভরে ফেরার পরই সেখানে ঢুকছে কয়েকজন। সাদা একটি দামি চারচাকা গাড়ি তাদের অনুসরণ করছে।

তাদের গাড়িতে হরিয়ানার নম্বরপ্লেট। অভিযোগ পেয়েই মুরারই থানার ওসি বিপ্লব প্রামাণিক সন্ধেবেলা ভাদিশ্বর মোড়ে একটি পেট্রল পাম্পের সামনে নাকা চেকিং করে। গাড়িটি দেখে দাঁড় করিয়ে চেকিং শুরু করতেই দু'জন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছে একটি দেশি পাইপগান, দুটি কার্তুজ, ১৫টি এটিএম কার্ড, ৪৬,৯০০ নগদ টাকা, পাঁচটি মোবাইলের সিম, এটিএম খোলার যন্ত্রাংশ-সহ আরও বেশ কিছু ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে। আপাতত তাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চক্রের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজে রয়েছে পুলিশ।