কঙ্গনার অভিশাপেই কি ঘর ভাঙছে উদ্ধব ঠাকরের!

একেই বলে হয়তো ধর্মের কল বাতাসে নড়ে! অন্তত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ব্যাপারে এক কথা একশো শতাংশ খেটে যায়। ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অবস্থা বেশ টালমাটাল। যত সময় যাচ্ছে দলে ততই যেন নিঃসঙ্গ হচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে ।
একে একে বিধায়করা তো সঙ্গ ছাড়ছেনই, সাংসদরাও ধীরে ধীরে ভিড়ে যাচ্ছেন একনাথ শিণ্ডের দলে। যা পরিস্থিতি, তাতে কোনও ম্যাজিক মিরাকল না হলে উদ্ধবের গদি বাঁচা মুশকিল। বুধবার রাতে নিজের বাড়ি ছেড়ে পৈতৃক বাড়িতে চলে এসেছেন উদ্ধব। নেটিজেনরা বলছেন, কঙ্গনার অভিশাপেই নাকি এসব ঘটছে। আসলে, দু’বছর আগে বিএমসির তরফ থেকে বেআইনি নির্মাণের কারণ দেখিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল কঙ্গনার অফিসের একাংশ।
তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্ধব ঠাকরেকে একহাত নিয়ে ছিলেন কঙ্গনা। সেই ভিডিওতে কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘উদ্ধব ঠাকরে তোর কী মনে হয়? ফিল্ম মাফিয়াদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে এরকমটা করলি। আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহংকার ভাঙবে। এটা সময়ের চাকা, মনে রাখিস।’ এই অবস্থায় শিব সেনার (Shiv Sena) মুখপাত্র তথা দলের সাংসদ সঞ্জয় রাউত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উদ্দেশে বলেন,
“যদি আপনাদের সমস্যা নেতৃত্ব নয় জোট সরকার হয়, যদি আপনারা শিব সেনা ছাড়বেন না বলছেন, তাহলে আমরা মহা বিকাশ আগাড়ি (MVA) থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি। কিন্তু তার আগে সামনে আসার সাহস দেখান। আর এসে উদ্ধব ঠাকরের সামনে নিজেদের শর্ত রাখুন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফিরলে দাবি নিয়ে ভাবনাচিন্তা হবে।” পালটা শিণ্ডে শিবির জানিয়ে দিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে ৫০ বিধায়ক রয়েছে। তাই ফেরার কোনও কারণই নেই।