গরমে এসি ব্যবহার করুন খুব কম খরচে, রইল টিপস

আজবাংলা- বিদ্যুৎ বিল বেশি হওয়ার ভয়ে অনেকেই এসি চালু করতে চান না বা এসি কিনতে আগ্রহী না, আর এই বিদ্যুৎ বিল কম রেখেই এসি ব্যবহারের কিছু কার্যকরী টিপস। বছর গুরতেই চলে আসে গরম, এ বছর ও গরম পড়েছে খুব। শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য দেশেও গ্রীষ্মের তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
গরম কমাতে অনেকেই এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনছেন ও ব্যবহার করছেন। অনেকেই আবার বিদ্যুৎ বিল বেশি হওয়ার ভয়ে এসি চালু করতে চান না। অন্যদিকে এসি সর্বক্ষণ চালিয়ে রাখাটা পরিবেশের জন্যও খারাপ বটে। চলুন জেনে নেই কিছু টিপস, কিভাবে ব্যবহার করলে কমে আসবে এসির বিল।
১. নিয়মিত এসি পরিষ্কার রাখুন। নিজে পরিষ্কার করতে পারলে ভাল অথবা দক্ষ লোক দিয়েও পরিষ্কার করাতে পারেন। নিজে পরিষ্কার করা কালীন এসির লাইন বন্ধ রেখে পরিষ্কার করূন অথবা এসি যে শোরুম বা দোকান থেকে কিনেছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারাই উপায় বলে দেবে।
২. রাতে তাপমাত্রা কম থাকে, সে সময়ে এসি বন্ধ করে দরজা-জানালা খুলে দিতে পারেন। এতে ঠান্ডা বাতাস ঘরে চলাচল করবে। বিদ্যুৎ বিল ও কম আসবে এতে করে।
৩. তাপমাত্রা বেশি থাকলেও এসির ফ্যান স্পিড বাড়াবেন না। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে শুধু তখনই স্পিড বাড়াতে পারেন। এতে করে এসি ভাল চলবে এবং গরম হবে না।
৪. এসির তাপমাত্রা অতিরিক্ত না কমিয়ে ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রাখুন এবং ফ্যান ছেড়ে দিন। এতে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে। এছাড়া রান্নার সময়ে এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন ,এতে করে কিচেনের গরমটা সারা ঘরে ছড়াবে না। অথবা রান্না করার সময় রান্না ঘরের জানালা খুলে রাখবেন, এতে করে রান্না ঘরে গরম কমে আসবে।
৫. ৭৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে রাখবেন না এসির তাপমাত্রা। এটা আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগের বেঁধে দেওয়া তাপমাত্রা। খুব বেশি কমাতে গেলে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হবে, এর কারণে লোড শেডিং এর সম্ভাবনাও বেশি। ঘুমাতে যাবার সময়ে তাপমাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে রাখতে পারেন।
৬. সারা দিন বা সারা রাত এসি চালিয়ে রাখা ঠিক না। গরম যখন অসহনীয় মনে হয় তখনই এসি ব্যবহার করুন। ঘর থেকে বের হবার সময় এসি বন্ধ করে দিন। বাড়ি থেকে বের হবার সময়ে কোনো রুমের এসি বা অন্য কিছু চালানো আছে কিনা ভালো করে চেক করে নিন।
৭. জানালা ও দরজার সামনে ভারী পর্দা টানা থাকলে রোদ ঢুকে ঘর গরম করতে পারে না। ঘরে ছোট টেবিল ফ্যান থাকলে সেটাকে খোলা জানালার সামনে সেট করে ছেড়ে রাখুন। এই টেবিল ফ্যান বাইরে থেকে ঠাণ্ডা বাতাস টেনে আনবে ঘরে। দেখবেন ম্যাজিকের মতন ঘর ঠাণ্ডা হচ্ছে। ফলে অনেক সময়ে এসি চালানোরই দরকার হয় না।
৮. কম্পিউটার, টিভি, ওয়াশিং মেশিন- এসব দিনের বেলা কম ব্যবহার করাই ভাল,রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে গেলে তখন ব্যবহার করুন। এসব গ্যাজেট তাপমাত্রা বাড়ায়। আর সাধারণ বাতির বদলে এলইডি লাইট ব্যবহার করতে পারেন।পড়াশুনার জন্য ঘরে রুম লাইটের পরিবর্তে টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করুন। ঘর ভাল ঠান্ডা থাকবে।
৯. এসি আছে যে ঘরে, চেষ্টা করুন সে ঘরে সবাইকে নিয়ে বসতে। অন্যান্য ঘরগুলোর দরজা বন্ধ রাখুন। দিনের বেলায়, বিশেষ করে মধ্য দুপুরের আগেই ঘরের দরজা- জানালা বন্ধ করে দিন। সূর্য পাটে বসার পর আবার খুলে দিন। একটি ঘর ঠান্ডা করতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে। দরজা খোলা থাকলে অন্যান্য ঘর ঠান্ডা করতে গিয়ে এসির ওপর বেশি চাপ পড়বে। জানালা খোলা রাখবেন না এসি ব্যবহার এর সময় ,এতে করে বাতাস বের হয়ে যাবে ঘর ঠান্ডা হবে না, বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাবে। দরজা জানালা বন্ধ রাখলে এসিও ভাল কাজ করবে।