শাসকের আস্কারায় হাওড়ায় বিক্ষোভের নামে চলছে তাণ্ডব

হাওড়ার অশান্তি নিয়ে এবার রাজ্যকেই পাল্টা নিশানা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার। একাধিক কেলেঙ্কারি থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘোরাতেই হাওড়ার এই অশান্তি পরিকল্পিত বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। শাসকের আস্কারায় রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে বলেও তোপ বিজেপি নেতার। অশান্তি থামছেই না হাওড়ায়।
পয়গম্বরকে নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দফায়-দফায় উত্তাল কলকাতা লাগোয়া এই জেলার পরিস্থিতি। এক কথায় বিক্ষোভের নামে চলছে তাণ্ডব। ক্লাব, গাড়ি ভাঙচুর-আগুন বিক্ষোভকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথরের বৃষ্টি। ইসলামী নেতাদের আকুতি-মিনতিতেও কান দেওয়ার বালাই নেই। অবিরাম তাণ্ডব চলছেই। বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকতে আগেই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু তাঁর আবেদনে সাড়া দেওয়া তো দূর, উল্টে বিক্ষোভের পারদ আরও চড়েছে। এদিকে, হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভের নামে এই তাণ্ডব নিয়ে উল্টে রাজ্য সরকারকে বিঁধেই ময়দানে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ফেসবুক পোস্টে অনুপম লিখেছেন, 'SSC,TET, গরু চুরি, কয়লা চুরি- এসব থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতেই শাসকের আস্কারাতে রাজ্যে চলছে সন্ত্রাস।'
অশান্তি থামাতে হাওড়ার পাঁচলায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও RAF। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার হাওড়ার এই অশান্তি নিয়ে যথেষ্ট কড়া বার্তা দিয়েছেন শনিবার। এদিন টুইটে তিনি লিখেছেন, 'আগেও বলেছি, দু'দিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?'
অন্যদিকে, হাওড়ার অশান্তি দমনে যথেষ্ট তত্পরতা নিয়েছে প্রশাসন। ১৪৪ ধারা জারি করে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা পুলিশ ও প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই হাওড়ার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা মোতায়েনেরও দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়েরা।
এদিকে রেল অবরোধের জেরে ট্রেনেই প্রাণ গেল এক প্রৌঢ়ের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার দেউলটি স্টেশনের কাছে। সূত্রের খবর, চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন জনৈক কে শ্রীনু। চিকিৎসা করিয়ে শুক্রবার সেকেন্দরবাদ-শালিমার সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, রেল অবরোধের জেরে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে ছিল ট্রেন। তখন অসুস্থ হয়ে পড়েন লিভারের সমস্যা থাকা শ্রীনু। ট্রেনটি যখন দেউলটি স্টেশনের কাছে, তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি কোথায় তা এখনও জানা যায়নি।