সিগারেট ছাড়বেন? তাহলে দেখে নিন এই উপায়টি

আজ বাংলা: ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, ধূমপান ক্যান্সারের কারণ- এই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের পরও আমরা কতটা সচেতন? সিগারেটের দাম বাড়লেও বিক্রি বেড়েছে সমানতালে। নিজেদের ক্ষতি হচ্ছে তা সকলেই বুঝতে পারছেন, কিন্তু নেশা ছাড়তে পারছেন কোথায়? অনেকে এখন শুধুমাত্র স্টাইল কিংবা বন্ধুদের কাছে নিজেদের স্টেটাস বজায় রাখতেই সিগারেট খান।
কিন্তু পরবর্তীতে তাই নেশায় পরিণত হয়।আপনার কি সিগারেটের নেশা?থাকলে আজই ছাড়ুন। অনেকেই ভাবেন জর আজ ছাড়ব কাল ছাড়ব। ভাবতে ভাবতেই প্যাকেটের পর প্যাকেট সিগারেট শেষ । তবে একদিনে সিগারেটের নেশা ছাড়া একপ্রকার অসম্ভব ব্যাপার। সিগারেট যখন ছাড়বেন বসে ঠিককরেছেন তখন মদ্যপানের অভ্যেসও ছেড়ে ফেলুন।
বরং বেশি করে জল খান। নুন চিনি লেবুর শরবত বা অন্য কোনও ডিটক্স ওয়াটার বার বার খান। ফলের রস খেতে পারেন। যদি মনে হয় মুখ, হাত ফাঁকা লাগছে তাহলে পেন্সিল কিংবা পেন পেপারের মতো করে পাকিয়ে মুখে ধরুন। ওর মধ্যে দিয়েই মনকে মানানোর চেষ্টা করুন। নেশা ছাড়তে চাইলে আপনাকেই কিন্তু চেষ্টা করতে হবে। নিতান্ত প্রয়োজন হলে হার্বাল সিগারেট খেতে পারেন।
যাঁদের ধূমপানের নেশা দীর্ঘদিনের তাঁদের আগে নিজেদের মনকে তৈরি করতে হবে। কারণসিগারেটের নেশা ছাড়া একটু কঠিনই। তাই ছাড়তে গেলে প্রথমেই কেন ধূমপান ছাড়তে চান, সেই কারণটা খুঁজে বের করা দরকার। ধূমপান ছাড়লে বেশ অনেকটা টাকাও কিন্তু বাঁচবে। সেই সঙ্গে পরিবারেও শান্তি বজায় থাকবে। নিজের হার্ট, ফুসফুস সবই ভালো থাকবে।
যত তাড়াতাড়ি নেশা ছাড়তে পারবেন ততই মঙ্গল। মনের দিক থেকেও ভালো থাকবেন। দীর্ঘদিন সিগারেট খেলে ফুসফুসের সমস্যা কিন্তু আসবেই। ধূমপান হঠাৎ ছেড়ে দিলে কিছু সমস্যা হয়তো দেখা দিতে পারে। মানসিক ভাবেও দুর্বল মনে হতে পারে। সুতরাং নেশা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আগে নিজেকে প্রস্তুত করুন। একটা সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করুন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
এখন বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে। তারও সাহায্য নিতেই পারেন। পজিটিভ ভাবনা চিন্তা করুন। অন্য কোনও কাজে মন দিন। সেই সঙ্গে নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে বেঁধে ফেলুন। একটা নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠা, শরীরচর্চা, সুষম খাওয়া-দাওয়া। দেখবেন অনেক ভালো আছেন। যদি কোনও সিগারেট লুকিয়েও রাখেন তাহলে প্যাকেট সুদ্ধ বাইরে ফেলে দিন। আখেরে লাভ হবে আপনারই। শুধু মন থেকে বলুন,'আমি পারব। আমাকে পারতেই হবে'।
কিন্তু আপনি কি জানেন দিনে একটা করে কলা খেলে এই নেশা থেকে মুক্তি পাবেন। কারণ কলার ভিতরে থাকে পটাশিয়াম, ভিটামিন এবং ম্যাগনেশিয়াম। যা শরীর থেকে নিকোটিন বার করে দেয় । তাই যারা বেশি ধূমপান করেন তারাও শরীর কে সুস্থ রাখতে প্রাতঃরাশে নিয়মিত কলা খান ।এর পাশাপাশি হ্যাংওভার থেকে মুক্তি পেতে অল্প মধুর সঙ্গে মিল্কশেক বানিয়ে খান। হ্যাংওভার কাটিয়ে আপনাকে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। মেজাজ খারাপ থাকলেও কলা খান। কারণ কলার মধ্যে উপস্থিত ট্রিপটোফ্যান নামক এমাইনো আসিড সেরোটোনিন তৈরি করে ,
যা আপনার মেজাজকে নিয়ন্ত্রণের রাখে। নিয়মিত সর তোলা দুধের সঙ্গে কলা খান। যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাবে। দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে, বা ভালো রাখতে প্রতিদিন কলা খান। কলার ভিতরে উপস্থিত পটাশিয়াম , ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমিয়ে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমায়। যা হাড়কে মজবুত করে।