উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় ফিরবে কোন দল ,সমীক্ষায় দিল পূর্বাভাস

উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় ফিরবে কোন দল ,সমীক্ষায় দিল পূর্বাভাস

বিজেপি, কংগ্রেস ও আপের মধ্যে এবার ত্রিমুখী লড়াই উত্তরাখণ্ডে। বিজেপি কি পারবে ক্ষমতা ধরে রাখতে? নাকি কংগ্রেসের পুনরুত্থানের আবহ তৈরি উত্তরের ওই রাজ্যে? আম আদমি পার্টিও পিছিয়ে নেই লড়াইয়ে। এবিপি নিউজ-সি ভোটারের সমীক্ষায় আভাস পাওয়া গেল উত্তরাখণ্ড এবার কোন দিকে মোড় নিতে শুরু কররেছে। উত্তরাখণ্ড নির্বাচনের জন্য এবিপি সিভোটার সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন এমনই একটা সময়ে হতে চলেছে, যখন ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের পদত্যাগের পর উত্তরাখণ্ড এক নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়েছে।

বিজেপি পরিবর্তন এনেছে নেতৃত্বে। এখন প্রশ্ন এই পরিবর্তন কি বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরাতে পারবে? উল্লেখ্য, ২০২২-এ উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরের সঙ্গে ভোট হবে উত্তরাখণ্ডেও। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলের সহকর্মীরাই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারপর তিনি পদত্যাগ করেন। তিরথ সিং রাওয়াত মুখ্যমন্ত্রী হল। রাজ্যে বিজেপির শাসনকাল ৪ বছর পূর্ণ করার কিছুদিন আগে তিনি পদত্যাগ করেন। তিরথ সিং রাওয়াতের পদত্যাগের পর পুষ্কর সিং ধামি শীর্ষ পদে আসীন হন।

২০২২ উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপি রাজ্যে তার শক্ত অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করছে এই পরিবর্তনের মাধ্যমে। আর কংগ্রেস এবং আপ নেতৃত্ব বিজেপির আমলের অপশাসন এবং অস্থিতিশীলতার বিষয় উত্থাপন করছে। ক্ষমতার টানাপোড়েনের মধ্যেই এবিপি নিউজ ও সি ভোটারের উত্তরাখণ্ডের মানুষের মেজাজ বোঝার জন্য এই সমীক্ষা করে।

সর্বশেষ সমীক্ষা বলছে, বিজেপি ৪৪.৬ শতাংশ ভোট পাবে। সেপ্টেম্বরের অনুমানের তুলনায় ১.৫ শতাংশ হ্রাস পাবে বিজেপির ভোট। অন্যদিকে, কংগ্রেস আসন্ন নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ ভোট পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। আগের সমীক্ষার তুলনায় ১.৪ শতাংশ বেশি ভোট পাবে কংগ্রেস। আর আম আদমি পার্টি ১৪.৭ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকবে। নতুন সমীক্ষা অনুসারে, কংগ্রেস জোট কিছু আসন সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ২১ থেকে ২৫টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস।

গতবারের পূর্বাভাস ছিল, কংগ্রেস ১৯ থেকে ২৩ আসন পেতে পারে। বিজেপি ৪৪ থেকে ৪৮টি আসন পেতে পারে বলে জানানো হয়েছি, তা কমে ৪২ থেকে ৪৬টি হতে পারে। আপ ৭০টির মধ্যে বড় জোর চারটি আসনে জয়যুক্ত হতে পারে। আবার নাও পেতে পারে আম আদমি পার্টি। ভোট শতাংশেও তাদের কোনও লাভ হচ্ছে না। এখন দেখার কংগ্রেস বা বিজেপির মধ্যে লড়াই কতদূর গড়ায়।