নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা কে? ইডি-কে জানিয়ে দিলেন শান্তনু!

প্রভাবশালীদের নির্দেশেই 'সব কাজ' করেছেন বলে ইডি-কে জানিয়ে দিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই নির্দেশ পালনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষকে। ইডির জেরায় এমনই জানিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, কারা এই প্রভাবশালী?
তাদের নাম জানতে কুন্তলকে লাগাতার জেরা করছেন গোয়েন্দারা। এদিন শান্তনুর ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজও করেছে ইডি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক শাসকদলের নেতার। কিন্তু এমন দুর্নীতির নেপথ্যে মূল মাথা কে? আদালত থেকে বেরোনোর সময় এমনই নানা প্রশ্ন ধেয়ে যায় তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তিনি অবশ্য যাবতীয় দায় চাপিয়েছেন কুন্তল ঘোষের উপর।
তাঁর কথায়, ''মোবাইল থেকেই সব সত্য বেরিয়ে আসবে।'' ইডি সূত্রে দাবি, কুন্তল ঘোষ ও শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জয়েন্ট কোম্পানি রয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কুন্তলের সঙ্গে আপনার নামে যৌথ কোম্পানি ও আরও দুই কর্ণধার, এই প্রশ্নের জবাবে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, ''জানি না, আমি ঠিক জানি না।
আমাকে যা বলতেন, সবটা কখনও খুটিয়ে জিজ্ঞেস করিনি। আমি জানি না ঠিক।'' ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় শান্তনু জানিয়েছেন, প্রভাবশালীদের নির্দেশে যাবতীয় কাজ করেছেন তিনি। আর তাঁর নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ ছিল কুন্তলের ওপর। শান্তনু জানান, কুন্তল এই কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড। তবে ইডি সূত্রে আসা তাঁর বয়ানে স্পষ্ট, সেদিন বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন শান্তনু।
ওদিকে শান্তনুর বর্ণিত প্রভাবশালী কারা তা তাঁকেই জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ইডির তরফে আরও জানা গিয়েছে, শুক্রবার শান্তনুর ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যে শান্তনুর স্ত্রীর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট ও তাঁর কোম্পানির অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ১ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই অ্যাকাউন্ট থেকে কাকে কাকে টাকা পাঠানো হয়েছে। কার কার কাছ থেকে টাকা এসেছে তা জানার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।