ভারতের এমন কিছু মন্দির যেখানে পুরুষদের প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা

ভারতের এমন কিছু মন্দির যেখানে পুরুষদের প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা

ভারত মহামানবের মিলন ক্ষেত্র৷ একটি বিচিত্র সংস্কৃতির দেশ। ভারতীয় সংস্কৃতি বিশ্ব সংস্কৃতির জনক হিসাবে বিবেচিত হয়। এই দেশের সর্বত্র মানুষের প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে গেঁথে রয়েছে ভক্তি। এ দেশে মানুষ, মানুষের চেয়ে ভগবানকে বিশ্বাস করে। তবে এমন অনেক মন্দির রয়েছে, যেখানে মহিলাদের নয় বরং পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। প্রসঙ্গত, কেরলের সবরীমালা মন্দিরে শুধুমাত্র পুরুষরাই প্রবেশ করতে পারেন। যেখানে মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে এটা ছাড়াও দেশে এরকম অনেক মন্দির রয়েছে যেখানে পুরুষের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে শুধু মহিলারাই পুজো করতে পারেন। জেনে নিন সেই সমস্ত মন্দিরের কথা—

ব্রহ্মা মন্দির : রাজস্থানের পুষ্কর হ্রদের পাশেই রয়েছে প্রজাপতি ব্রহ্মার মন্দির। পুরানো বিশ্বাস অনুসারে, এই মন্দিরটি মাতা সরস্বতীর কাছ থেকে এমন অভিশাপ পেয়েছে, যার কারণে কোনও বিবাহিত ব্যক্তি এটি দেখতে পারবেন না। এখনও যদি কেউ যায় তবে তাদের বৈবাহিক জীবনে তাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। এই মন্দিরটি পুরো পৃথিবীতে একটি এমন অভিশপ্ত মন্দির।

দেবী কন্যাকুমারী মন্দির : তামিলনাড়ু: ভারতের দক্ষিণ বিন্দুতে অবস্থিত এই মন্দিরে কুমারী রূপে পূজিত হন দেবী ভগবতী। বলা হয় এখানে দেবী সাধিকা রূপে পূজিত হন। কথিত আছে যে ভগবান শিবকে স্বামী রূপে পাওয়ার জন্য মা ভগবতী একবার তপস্যার জন্য এখানে এসেছিলেন। ভগবতী মা-কে সন্নাস দেবীও বলা হয় তাই একমাত্র সন্নাস পুরুষরাই মন্দিরের প্রবেশ দ্বার থেকে দেবীর দর্শন করতে পারেন। তবে বিবাহিত পুরুষদের এই মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কেবলমাত্র মহিলারাই এই পুজো করতে পারেন। 

কামাখ্যা মন্দির : আসামের গুয়াহাটির নীলাঞ্চল পাহাড়ের ওপর নির্মিত এই মন্দিরটিতে প্রতিবছরই বেশ ধুমধাম করে অম্বাবাচি মেলার আয়োজন হয়। তবে এই সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। জানা গিয়েছে, এটি হল দেবীর ঋতুস্রাবের সময়। তাই পুরুষরা প্রবেশ করতে পারেন না। শুধুমাত্র সন্নাসী পুরুষ এবং মহিলারাই মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে পারেন।

আত্তাকূল ভগবতী মন্দির : কেরালার আতুকাল ভগবন্তী মন্দিরে একটি উৎসবের আয়োজন করা হয়, যার সমস্ত দায়িত্বভার থাকে মহিলাদের ওপরই। পুরুষরা এখানে আসতে পারেন না। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে প্রায় ১০ দিন ধরে পালিত হয় এই উৎসব। ধর্মীয় কারণে এতো বেশি সংখ্যক মহিলার জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে জায়গা করে নিয়েছে এটি।

চক্কুলাথুকাবু মন্দির : কেরলের আলাপ্পুঝা জেলার এই মন্দিরেও উপাস্য দেবী ভগবতী। এখানেও পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। মা দুর্গার এই মন্দিরে প্রত্যেক বছর পঙ্গলের সময় নারীদের পুজো করা হয়। এই পুজো ১০ দিন ধরে চলে এবং এই সময় পুরুষদের মন্দিরে প্রবেশ একবারে নিষেধ থাকে। এছাড়াও পুজোর শেষদিনে পুরুষরা মহিলাদের পা ধুয়ে দেন।