হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে গিয়ে কি পিতৃপক্ষে মা দুর্গার পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে গিয়ে  কি পিতৃপক্ষে মা দুর্গার পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রভাকর রায়     পিতৃপক্ষের অবসান ও মাতৃপক্ষের শুরু! মহালয়া মানে দুর্গা পুজো এসে গিয়েছে, লাইনটির অর্থ যথারীতি বোঝেন নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,  বোঝার চেষ্টাও করিনি!  মহালয়ার অনেকটা আগেই বৃহস্পতিবার কলকাতার দু'টি বড় পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটেয় সল্টলেকের এফডি ব্লক সর্বজনীন পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর পর তিনি চলে যাবেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর উদ্বোধনে। বিকেল সাড়ে তিনটেয় শ্রীভূমির পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পিতৃপক্ষ চলা কালিন কি মাতৃপক্ষের পুজোর উদ্বোধন করাযায়। হিন্দু শাস্ত্রমতে পিতৃপক্ষে কোন শুভ কাজ হয় না। তা হলে কি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা দুর্গার পুজোর উদ্বোধন করবেন ।

বছরের ১২মাসে ২৪টি পক্ষ রয়েছে, তার মধ্যে ২টি পক্ষ বিশেষ তাৎপর্য্যপূর্ণ। প্রথমটি পিতৃপক্ষ ও দ্বিতীয়টি দেবীপক্ষ। পিতৃপক্ষের অবসান ও মাতৃপক্ষের শুরু! আশ্বিনের কৃষ্ণ পক্ষের তিথীকে বলা হয় মহালয়া।  এই কৃষ্ণ পক্ষকে বলা হয় অপরপক্ষ কিংবা পিতৃপক্ষ। পিতৃপক্ষে স্বর্গত পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পার্বন শ্রাদ্ধ ও তর্পন করা হয়। এই অমাবস্যায় পিতৃপূজা সেরে পরের পক্ষে দেবীপূজায় প্রবৃত্ত হতে হয়।

তাই দেবীপূজার পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ বা মাতৃপক্ষ, মহালয়া হচ্ছে পিতৃপক্ষের শেষ দিন এবং দেবী পক্ষের শুরুর পূর্ব দিন পিতৃপক্ষে আত্নসংযম করে দেবী পক্ষে শক্তি সাধনায় প্রবেশ করতে হয়। দেবী শক্তির আদিশক্তি, তিনি সর্বভূতে বিরাজিত।

তিনি মঙ্গল দায়িনী করুনাময়ী। সাধক সাধনা করে দেবীর বর লাভের জন্য, দেবীর মহান আলয়ে প্রবেশ করার সুযোগ করেন বলেই এ দিনটিকে বলা হয় মহালয়া।মহালয়ার পর প্রতিপদ তিথি থেকে দেবী বন্দনা শুরু হয়। কোন কোন অঞ্চলে দেবীর আরাধনা প্রতিপদ থেকে শুরু হয়।আমাদের এখানে ষষ্ঠ তিথি থেকে দেবী বন্দনা শুরু হয়। তবে কি হিন্দু শাস্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে পিতৃপক্ষে মা দুর্গার পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন সেটাই দেখার ।