বিপত্তারিণীর পুজো ও ব্রত পালন

বিপত্তারিণীর পুজো ও ব্রত পালন

ব্রত পালনের আগের দিন নিরামিষ খাওয়া উচিৎ। আর ব্রতের দিন উপবাসী থাকতে হয়। পরে ফুল, মিস্টি, তেরটি লুচি খেয়ে উপবাস ভাঙে। ব্রত পালনের দিন বিপত্তারিনী মায়ের পূজা দিতে হয় তেরো ধরনের ফুল ও ফল দিয়ে। এরপর লাল সুতোয় তেরোটি গাঁট ও আট পাতার দুর্বা (অষ্টদুর্বা)দিয়ে বাঁধতে হবে।এভাবে একটা ডুরি তৈরি করুন।এরপর ওই ডুরী মেয়েদের বাঁ হাতে ও ছেলেদের ডান হাতে বাঁধতে হয়।

এটাকে সবাই মনে করেন দেবী বিপত্তারিনীর আশী্র্বাদ।এটাই সকলের বিপদের রক্ষাকবচ। সাধারণত আষাঢ় মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বিপত্তারিণী  ব্রত পালন  করা হয়।প্রতি বছর আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের​ তৃতীয়া থেকে নবমী তিথির​ মধ্যে যেকোনো শনি বা মঙ্গলবারে​ এই ব্রত পালন করা হয়। একবার ব্রত শুরু করলে তিন বছর, পাঁচ বছর বা নয় বছর পালন করা উচিত।

ব্রতের আগের দিন একবার নিরামিষ গ্রহণ করা উচিত। এই ব্রতর প্রভাবে পূজারি ব্রাহ্মণকে দিয়ে ঘট স্থাপন করে হলুদ সুতো দিয়ে দুর্বা-সহ ঘটের মুখে বাঁধতে হয়। তারপর স্বস্তিবচন করে নামগোত্র ধরে সংকল্প সৃক্ত উচ্চারণ করতে হবে। অঙ্গশুদ্ধি, করশুদ্ধি করে পঞ্চদেবতার পাদ্যার্ঘ দিয়ে পুজো করতে হবে বিপত্তারিণী রূপী দুর্গার।

পূজার উপকরণ বলতে যেগুলি লাগে তা হলঃএকটি শীষওয়ালা ডাব, একটি নৈবেদ্য, তেরো রকমের ফুল, তেরো রকমের ফল,তেরো গাছি লাল কস্তাসুতো, তেরোটি দুর্বা, তেরোটি গোটা পান, তেরোটি সুপারি, তেরোটি পৈতা, তেরোটি লবঙ্গ, তেরোটি ছোট এলাচ, তেরোটি বড় এলাচ। পুজোর শেষে পুরোহিতকে যথাসাধ্য  দক্ষিণা দিলেন।সাথে সাথে মন দিয়ে ব্রত কথা শুনুন।বিপত্তারিনী ব্রত পালন করা হয় সংসারকে যাতে সব বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।অনেকের মতে বছরে যত ব্রত আছে, তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বিপত্তারিণী ব্রত। এই ব্রত পালন করলে জীবনে সুখ, শান্তি, ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। 

কথায় বলে বিপদ তো বলে আসে না, বিপদ এলেই মনে আসে প্রবল দুশ্চিন্তা। তখন মনে হয়, ঠিক কী করলে এই বিপদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই মনে ভক্তি ও বিশ্বাস রেখে এই মন্ত্র যদি মা বিপত্তারিণীর পুজো করা যা তা হলে সকল বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং মনের সকল বাসনাও পূরণ হয়।

মন্ত্র মাসি পূন্যতমেবিপ্র মাধবে মাধবপ্রিয়ে। ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চ বাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঝক্ষে চ মধ্যাহ্নে জানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযগেষু শোভনেষুচ। নমঃ সর্ব মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।।

লাল সুতোর ডুরি পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করাই নিয়ম। বিপত্তারিণী ব্রত সাধারাণত মহিলাদের ব্রত। এই ব্রত কমপক্ষে ৩ বছর পালন করা নিয়ম।বিপত্তারিণী ব্রত পালনে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সাংসারিক বিপদ থেকে রক্ষা করে জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি দান করেন মা বিপত্তারিণী।

আরো পড়ুন      জীবনী  মন্দির দর্শন  ইতিহাস  ধর্ম  জেলা শহর   শেয়ার বাজার  কালীপূজা  যোগ ব্যায়াম  আজকের রাশিফল  পুজা পাঠ  দুর্গাপুজো ব্রত কথা   মিউচুয়াল ফান্ড  বিনিয়োগ  জ্যোতিষশাস্ত্র  টোটকা  লক্ষ্মী পূজা  ভ্রমণ  বার্ষিক রাশিফল  মাসিক রাশিফল  সাপ্তাহিক রাশিফল  আজ বিশেষ  রান্নাঘর  প্রাপ্তবয়স্ক  বাংলা পঞ্জিকা