অরিন্দম শীলের পর ফের কুপ্রস্তাব পেয়ে রাগে ফুঁসছেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা

রূপাঞ্জনা মিত্র (Rupanjana Mitra), নামটা বলে এখন আর আলাদা করে তাকে চিনিয়ে দিতে হয় না সিরিয়ালপ্রেমী মানুষদের। অন্তত যারা তাকে তার নিজের নামে চেনেন না তারা ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকের লাবণ্য সেনগুপ্তকে নিশ্চয়ই চেনেন। দীপার শাশুড়ি লাবণ্য এখন বাংলা ধারাবাহিকের সেরা শাশুড়ি মা। রূপাঞ্জনার অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা।
তবে তার মত একজন দক্ষ অভিনেত্রীকেও মৃন্ময় নামের এক ব্যক্তির কাছে সম্প্রতি কুপ্রস্তাব পেয়েছেন । তিনি চুপ থাকার পাত্রী নন। ফেসবুকে স্ক্রিন শট শেয়ার করে পর্দা ফাঁস করেছেন তিনিও। এই ব্যক্তি রূপাঞ্জনাকে প্রথমে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া ই-মেইল অ্যাড্রেসে মেইল পাঠান। কাজ সংক্রান্ত মেইল করেন তিনি। তারপর রূপাঞ্জনা যখন তাঁকে ফোন নম্বর দেন, তিনি মেসেজ করেন।
তাতেই উঠে আসে ব্যক্তির আসল উদ্দেশ্য। প্রথমে এই ব্যক্তি রূপাঞ্জনাকে সরাসরি বলেন তাঁর এক ক্লায়েন্ট অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। তার জন্য রূপাঞ্জনা কত টাকা নেবেন জানতে চান তিনি। অভিনেত্রী বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকেন সেটি অভিনয় সংক্রান্ত কোনও কাজ কি না। ব্যক্তি জানান, তাঁর ক্লায়েন্ট রূপাঞ্জনার সঙ্গে সময় কাটাতে চান।
রূপাঞ্জনা সেই বাঙালি ব্যবসায়ী ক্লায়েন্টের ছবি দেখতে চান, পরিচয় জানতে চান এবং বলেন সরাসরি যোগাযোগ করতে। এরপর অভিনেত্রী ফোঁস করে ওঠেন এবং সরাসরি বলেন, “আপনার ক্লায়েন্ট আমাকে অ্যাফোর্ড করতে পারবে না। আমার মনে হয় আপনারা হারেম সেন্টার খুঁজছেন। ভাই, আমি বলছি একটা কথা শুনুন। আমি কিন্তু আপনাকে এবং আপনার সেই বাঙালি ব্যবসায়ী ক্লায়েন্টকে খুঁজে বের করব।
ভুল দরজায় কড়া নেড়েছেন আপনি।” মৃন্ময় নামের সেই ব্যক্তি তখন ‘আমতা-আমতা’ করতে থাকেন। রূপাঞ্জনা জানান, তিনি পুলিশের কাছে যাচ্ছেন। এই গোটা কথোপকথনও চলতে থাকে হোয়াটসঅ্যাপে। যার স্ক্রিন শট রূপাঞ্জনা শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। এর আগেও রূপাঞ্জনার প্রতিবাদী রূপ উঠে এসেছে। একটা সময় তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীলের কুপ্রস্তাবের বিরুদ্ধে। অভিনেত্রী নো-ননসেন্স মানুষ। অন্যায়ের সঙ্গে একেবারেই মানিয়ে নিতে পারেন না।