পশ্চিম মেদিনীপুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ধৃত ৩

পশ্চিম মেদিনীপুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ধৃত ৩

কয়েক দিন আগে, বুধবার ৯ মার্চ  বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে উদ্ধার হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের নবীনমানুয়া সিতাপুর এলাকার বাসিন্দা ঊর্মিলা দাসের গলাকাটা মৃতদেহ (Ghatal Muder)। দাসপুর থানার কলোড়ায় কাঁসাই নদী থেকে মহিলার যে গলা কাটা পাথর চাপা অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর দেহ৷ তখন অবশ্য মৃতার পরিচয় জানা যায়নি৷

তাঁর পরিচয় জানা যায় শুক্রবার৷ স্বামী চিত্তরঞ্জন দাস মৃত দেহের ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে নিজের স্ত্রীকে শনাক্ত করেন। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ৮ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল প্রায় ৫ টা নাগাদ ঊর্মিলা দেবী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। ঊর্মিলা দেবীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলে সোনার কাজ করেন, বৌমাকে নিয়ে ভিন রাজ্যেই থাকেন।

বাড়িতে থাকতেন ঊর্মিলা ও তাঁর স্বামী চিত্তরঞ্জন।  ওইদিন ঊর্মিলা তাঁর নাতনির বিয়ের বিষয়ে এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে ছেলের খোঁজে গিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন৷  ছেলে সোনার কাজ করায় ঊর্মিলার গায়ে সোনার গয়না থাকত বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই গহনা ছিনতাই করতে গিয়েই ঊর্মিলা দাসকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়৷

এ ছাড়া অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।  পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ও দাসপুর থানা যৌথ ভাবে তদন্ত চালিয়ে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে৷ ধৃতরা হল সাগর খান, মেহবুব ইসলাম এবং শেখ শামীম আহমেদ৷ তাদের কেশপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে  পুলিশ সূত্রে খবর। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি ধারালো অস্ত্র ও কিছু খোয়া যাওয়া অলংকার উদ্ধার করা হয়েছে।  ধৃতদের শনিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হয়।