চক্রাসন

উর্দ্বা ধনুরসনা নামেও পরিচিত,চক্রাসন হ’ল মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়ানোর জন্য অনেকের দ্বারা চর্চা করা একটি জনপ্রিয় যোগ আন্দোলন। ‘হুইল পোজ’ বা বেশিরভাগ লোকেরা এটি কল করতে পছন্দ করে, অষ্টাঙ্গ যোগের একটি অংশ যা একটি যোগব্যায়াম যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যকে বাড়ায়, স্ট্রেস বুস্টার হিসাবে কাজ করে,
চর্বি পোড়ায় এবং কার্ডিও ওয়ার্কআউটের মধ্যে দ্বিগুণ হয় চক্রাসন বা উর্ধ্ব ধনুরসানা অষ্টাঙ্গ যোগের অধীনে আসে যা দেহ এবং মনের স্বাস্থ্যকে উন্নত করার জন্য একটি বহুল প্রচলিত ফর্ম।আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করা ছাড়াও, চক্রাসন আপনার দেহের সাতটি চক্রকে মেরুদন্ডের গোড়ায় অবস্থিত মুলধারা (মূল চক্র), মণিপুরা (নাভির চক্র), সারিবদ্ধ করার জন্য বলা হয় ), আনাহাটা (হার্ট চক্র), বিশুদ্ধ (গলা চক্র), আজনা (তৃতীয় চক্র) এবং সহস্ররা (ক্রাউন চক্র)।
পদ্ধতি - প্রথমে অর্ধ-চক্রাসনের ভঙ্গিমায় আসুন। তারপর হাত দু’টো আস্তে আস্তে সরিয়ে এনে দু’পায়ের গোড়ালির কাছে রাখুন বা গোড়ালি দু’টো ধরুন। মাথা যতদূর সম্ভব পেছনদিকে বাঁকিয়ে নিয়ে যান। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ সেকেন্ড থেকে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। এরপর আস্তে আস্তে মাথা মাটিতে নামিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। বিশ্রাম নিয়ে আসনটি ২/৩ বার করুন এবং প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।
উপকারিতা - আসনটি মেরুদণ্ডের হাড়ের জোড় নমনীয় রাখে। মেরুদণ্ড-সংলগ্ন স্নায়ুমণ্ডলী ও তার পাশের পেশী সতেজ ও সক্রিয় রাখে। বুকের পেশী ও পাঁজরের হাড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং বুক সুগঠিত করে। হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আসনটি অভ্যাসের সময় দেহের মধ্যভাগে প্রচণ্ড চাপ পড়ে বলে ঐ অঞ্চলের পেশী, স্নায়ুজাল সবল ও সক্রিয় থাকে এবং পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, প্লীহা, যকৃৎ খুব ভালো কাজ করে।
যাদের বুক বয়স অনুযায়ী সরু ও অপরিণত, তাদের এ আসনটি অবশ্য করা উচিৎ। আসনটি অভ্যাসে দেহের মধ্যভাগের অপ্রয়োজনীয় মেদ দূর হয়, মনের চঞ্চলতা দূর করে এবং স্বভাবে ধৈর্য বৃদ্ধি করে। কোনও স্ত্রী-রোগ বা পেটের রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না। চক্রাসনের সঙ্গে পদহস্তাসন ও শশঙ্গাসন অভ্যাস রাখলে কোনদিন লাম্বার স্পন্ডিলোসিস বা স্লিপড্ ডিস্ক জাতীয় কোনও রোগ হতে পারে না।
নিষেধ - আসনটিতে বুকে প্রচণ্ড চাপ পড়ে বিধায় যাদের হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুস দুর্বল, রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত তাদের জন্য আসনটি করা উচিৎ নয়।