নদীয়ায় দুই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ যুবকের

নদীয়ায় দুই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ যুবকের

দুই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সরাসরি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলো এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার গয়েশপুর পুরসভার পৌর ৭, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। তড়িঘড়ি আহত দুই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। আহত দুজনের মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।অন্য জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মৃত যুবকের নাম প্রদীপ শীল। বয়স ৩৫ বছর। অন্যজন বছর ৫০-এর শ্যামল দেবনাথ। থানায় আত্মসমর্পণ করা যুবককের নাম বিশ্ব বৈদ্য।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীয়াকল্যাণী থানার গয়েশপুরে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ এক তৃণমূল কর্মীকে। অভিযোগ, বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারার সময় হঠাত্‍ বিশ্বজিত্‍ বৈদ্য নামে এক যুবক এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত প্রদীপ শীল ও শ্যামল দেবনাথ নামে দু'জন তৃণমূল কর্মীকে ভোজালি দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারে।

গুরুতর জখম অবস্থায় প্রদীপ ও শ্যামলকে জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রদীপ শীল হাসপাতালে মারা যায়। শ্যাামলের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গয়েশপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রদীপ শীল ও শ্যামল দেবনাথ তৃণমূল কর্মী। প্রদীপ শীল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ কর্মী। বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক তর্কাতর্কি নিয়ে হঠাত্‍ বিশ্বজিত্‍ বৈদ্য ভোজলি নিয়ে কোপায় প্রদীপ ও শ্যামলকে।

এই ঘটনার পর বিশ্বজিত্‍ কল্যাণী থানায় আত্মসমর্পণ করে। কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কৌশিক ঘোষ বলেন, পুরোটাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের চক্রান্ত। যদিও তৃণমূলের দাবি অস্বীকার করে কল্যাণী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই যেভাবে গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চলছে কল্যাণী তার ব্যতিক্রম নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা। অভিযুক্ত আমাদের দলের কেউ নয়।